১৯৫০ সালের ৫ জুলাই ময়মনসিংহ সদরের চরখরিচা গ্রামে মাওলানা মাহমুদের জন্ম। বাবা গালীব উদ্দীন আহমাদ মা ফাতিমা রমজানী। ময়মনসিংহের বালিয়া মাদ্রাসা, জামিয়া ইসলামিয়া মোমেনশাহী, জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষে পকিস্তানের বিন্নুরি টাউন থেকে শিক্ষার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপন করেন। বিন্নুরি টাউন থেকেই তিনি ফিকাহ, হাদিস ও তাফসিরের ওপর বিশেষ ডিগ্রি লাভ করেন। আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী, আল্লামা ইদরিস মিরাঠী, আল্লামা শায়খ ওয়ালী হাসান ও আল্লামা হেদায়াতুল্লাহসহ বিশ্ববরেণ্য আলেমদের থেকে তিনি হাদিসের সনদ গ্রহণ করেন। মাত্র ২৮ দিনে পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্ত করে অসাধারণ মেধা ও প্রখর স্মরণ শক্তির স্বাক্ষর রাখেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
পাকিস্তানের জামিয়া ফারুকিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন দেশবরেণ্য এই আলেম। বর্তমানে তিনি গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটির খতিব। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী, ঢাকার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে অন্তত কয়েকশ' ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।এছাড়া তিনি আধ্যাত্মিক সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর ও মাসিক আল-জামিয়া নামক একটি ইসলামী ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।ইসলামী লেখালেখির জগতেও রয়েছে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সরব পদচারণা। সম্পূর্ণ কোরআন শরীফের বিশদ তাফসির রচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন প্রায় দুই শতাধিক গ্রন্থ।
দাওয়াতুল হক আওর দাওয়াত ও তাবলিগ, ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা, নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, হায়াতে আবরার, হায়াতে উসমানি, আল বুরহানুল মুআইয়াদ, তোহফায়ে আবরার, তোহফায়ে সুন্নাহ, আদর্শ মতবাদ, মাওয়েজে হাসানাহ, সিরাতে মুস্তাকিমের সন্ধানে তার উল্লেখযোগ্য রচনা। আরবি ও উর্দু ভাষায় তিনি অনেক কিতাব রচনা করেছেন। তার রচিত ‘আর রদ্দুল জামিল’ আরব বিশ্বে সাড়া জাগানো একটি কিতাব।