
দ্য ডটার অফ টাইম
আহত অবস্থায় হাসপাতালে বিছানাবন্দী হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত স্কটল্যান্ডের ইয়ার্ডের ইন্সপেক্টর অ্যালান গ্র্যান্ট। সে সময় একটা প্রতিকৃতির চেহারার ছবির দিকে বিশেষ নজর পড়ে। মানুষের চেহারার প্রতি এ্যান্টের আলাদা একটা মােহ আছে। চেহারা থেকে সে লােকের আচরণ পড়তে জানে। তবে এই বিশেষ ছবিটা তাকে ভুল প্রমাণ করলাে। ছবিতে মুখটা দেখে লােকটাকে তার যেমন চরিত্রের মনে হয়েছিল, ছবির পিছনে থাকা নামের সাথে সেসব কিছু যায় না। ইতিহাস লােকটার ব্যাপারে বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।
ইতিহাস বলছে লােকটা খুবই নৃশংস, দানব প্রকৃতির একজন- কিন্তু ছবি বলছে সম্পূর্ণ উল্টো কথা শুধু সে ই না, হাসপাতালে তাকে যারা দেখতে এসেছে, তাদের সবাইই ছবির লােকটার ব্যাপারে যে মন্তব্য দিয়েছে- তারসাথে ইতিহাসের কোনাে মিলই নেই। সত্য কি সবসময়ই সত্য থাকে? না সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়? ইতিহাস ঘাটলে অনেক বীর দেখা যায়, অনেক কুখ্যাত ভিলেন চরিত্রও পাওয়া যায়। ইতিহাসে যেভাবে বর্ণনা করা আছে, আমরা তাদের সেভাবেই ধরে নিয়েছি। কিন্তু কখনাে কি ভেবেছি, যাদেরকে বীর ভাবছি তারা সত্যিই বীরের মতাে কিছু করেছিলাে?
নাকি ক্ষমতার জোরে তাদের বীর উপাধি দেওয়া হয়েছে? কিংবা, যারা ভিলেন, খারাপ কাজ করেছে বলে দাবি ইতিহাসের- তারাও কি সত্যিই ওরকম কিছু করেছিল? নাকি তাদের শত্রুরা ক্ষমতা ব্যবহার করে জোর করে কুখ্যাত বানিয়ে দিয়েছে? সত্য কি সত্যিই লুকিয়ে রাখা যায়? ভাবতে গেলে মনে হবে, হ্যা যায় । কিন্তু না। সত্য কখনােই লুকিয়ে রাখা যায় না। যতােই চেষ্টা করা হােক না কেন, সত্য চিরজীবন সত্যই থাকবে। কারণ- সত্য সময়ের কন্যা, ক্ষমতার নয়।
- নাম : দ্য ডটার অফ টাইম
- লেখক: জোসেফিন টে
- অনুবাদক: মাদিহা মৌ
- প্রকাশনী: : রোদেলা প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 190
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849311027
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2018