dustu cheler dol (দুষ্টু ছেলের দল)

দুষ্টু ছেলের দল

৳200.00
৳150.00
25 % ছাড়

"দুষ্টু ছেলের দল"বইটির প্রথমের কিছু অংশ:

পেয়ারা গাছের বিভিন্ন ডালে যে ছয়জন ছেলে বসে আছে তারা সবাই এ পাড়ার ছেলে নয়। সবচেয়ে উপরে যে ঝুলে আছে সে সূত্রাপুর থেকে এসেছে। তার নাম আরিফ কিন্তু সবাই তাকে আরিফারিফ বলে ডাকে। তাড়াতাড়ি কথা বলতে গেলে আরিফের একটা তােতলামাে এসে যায় তাই কবে নিজের নাম আরিফ বলতে গিয়ে আরিফারিফ বলে ফেলেছিল, সেই থেকে তার নাম আরিফারিফ হয়ে গেছে। আরিফ কখনাে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না, তাই গাছে উঠেও ক্রমাগত নড়াচাড়া করছে। কখনাে দু'পায়ে একটা ডাল ধরে মাথা নিচু করে ঝুলে আছে, কখনাে নখ দিয়ে গাছের ছাল তুলে ফেলছে কখনাে একটা কাঠ পিপড়ে হাতের তালুতে নিয়ে সেটাকে ত্যক্ত বিরক্ত করে সময় কাটাচ্ছে। ছেলেটি এমনিতে চুপচাপ, একা থাকলে নিজের মনে কথা বলতে দেখা যায়। প্রথম প্রথম সেটা নিয়ে সবাই অবাক হতাে, আজ-কাল আর হয়।

গাছের মাঝামাঝি যে দুজন আছে তার মাঝে একজনের চোখে চশমা, সে হচ্ছে। টিপু। তাকে শুধু ছেলেরা নয় স্কুলের স্যারেরাও ডাকেন সাইন্টিস। শব্দটা এক সময় সাইন্টিষ্ট ছিল দীর্ঘদিন ব্যবহারে ছােট হয়ে আসছে। সে এই এলাকার ছেলে, তাদের। পাড়ার যে কোন ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে তারা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবে টিপুর ল্যাবরেটরির মতাে ল্যাবরেটরি পাওয়া কঠিন। তাদের বাসার পুরনাে রান্নাঘরের ঝুল কালি পরিষ্কার করে সেখানে এটি বসানাে হয়েছে। সেখানে পুরনাে, টায়ার থেকে শুরু করে একটা গরুর মাথার খুলি পর্যন্ত আছে। সব সময়ই সে কিছু

কিছু আবিষ্কার করছে, গত সপ্তাহেই সে গােলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে লিটমাস পেপার তৈরি করেছে। শক্ত এসিড না হলে সেটা ভাল কাজ করে না কিন্তু তবুও তাে আবিষ্কার! টিপুর রকেট আবিষ্কারের কথা অনেকে জানে, তার রকেটটা উপরের দিকে না উঠে কেন নিচেই ঘুরতে শুরু করেছিল সেটা এখনাে কেউ জানে না, তখন রকেট থেকে পালাতে গিয়ে টিপুর মাথা ফেটে গিয়েছিল। টিপুর আব্বা তখন তার পুরাে ল্যাবরেটরি নালায় ফেলে দিতে চেয়েছিলেন অনেক কষ্টে রক্ষা হয়েছে। সেই থেকে টিপু তার রকেট বা বােমা জাতীয় জিনিষের উপর গবেষণা করতে পারে না। | টিপুর পাশে যে বসে আছে তার নাম কণা। ছােটখাট গাট্টা-গােট্টা ছেলে, ফুটবল খেলার সময় ব্যাকে খেলে, কার সাধ্যি আছে তাকে কাটিয়ে বল নিয়ে যায়? সাইজে

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন