With Loranc In Arabia (উইথ লরেন্স ইন অ্যারাবিয়া)

উইথ লরেন্স ইন অ্যারাবিয়া

৳230.00
৳184.00
20 % ছাড়

বইটি একটি জীবনীগ্রন্থ৷ তিনি 'লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া' নামে পরিচিত৷ তাকে মধ্যপ্রাচ্য তথা আধুনিক আরব বিশ্বের জনক বলা হয়। পুরো নাম টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স (১৫ই আগস্ট, ১৮৮৮ - ১৯শে মে, ১৯৩৫) একজন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব বিশারদ, সামরিক নীতি নির্ধারক এবং লেখক। তিনি ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব বিশ্বকে খানখান করার পেছনে তার ভূমিকা সমধিক৷ আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে যেমন ইংরেজদের একজন রবার্ট ক্লাইভ ছিলো তেমনি মধ্যপ্রাচ্যে ছিলো এই মহান ব্যক্তিটি৷ আমাদের এখানে যেমন ক্লাইভ মীর জাফর আর ঘসেটি বেগমকে পেয়েছিলেন সেখানেও লরেন্স পেয়েছিলেন আরব শেখদের মধ্যে কতিপয় সেবাদাস৷

ইতিহাসের পূর্বপাঠঃ বহু শতাব্দী ধরে পৃথিব্যাপী ইহুদীরা নিগৃহীত হচ্ছিলো৷ এশিয়া, ইউরোপ সর্বত্র তারা চরম বর্ণবাদে শিকার হচ্ছে৷ মার খাচ্ছে খুব বেশি৷ ফরাসী বিপ্লবের পর ইউরোপের অল্প কিছু অংশে ইহুদীরা সুদিন পেলেও পৃথিবীর বাকি অংশে তারা সমানভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছিলো৷ অটোমান সাম্রাজ্য বিস্তারের পর পৃথিবীর বৃহত্তম অংশে ইহুদিরা সর্বপ্রথম শান্তি লাভ করলো৷ সুদূর মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ পর্যন্ত ইহুদী নির্যাতন বন্ধ হলো৷ অটোমান মুসলমান শাসকদের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবেও ইহুদীরা নিয়োগ লাভ করলো৷ সেই ইতিহাস এখন আর আলোচিত হয় না৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইংরেজ ও ফরাসীরা অটোমানদের বিরুদ্ধে সুকৌশলে ক্ষেপিয়ে তুললো আরব শেখদেরকে৷ তাদেরকে বুঝালো তোমরা অটোমানদেরকে তাড়াও, আমরা তোমাদের স্বাধীনতা দেবো৷ একই সময়ে ইহুদীদেরকে গোপনে বুঝালো তোমরা অটোমানদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো৷ আমরা তোমাদেরকে একটি ইহুদী রাষ্ট্র দেবো৷

ব্যাস, কাজ শুরু হয়ে গেলো৷ টোপ গিললো আরব মুসলমান ও ইহুদীরা৷ এতে ইহুদীরা বেশ লাভবান হলো৷ কিন্তু স্বল্পতম সময়ে স্বপ্নভঙ্গ হলো মুসলমানদের৷ তারা তুর্কি ভাইদের দিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছিলো৷ লরেন্সের উস্কানিতে ১৯১৬ সালে আরব শেখ 'শরিফ হুসাইন বিন আলী' কর্তৃক সূচিত হয় আরব বিদ্রোহ। উসমানীয়দের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ এবং সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইয়েমেনের এডেন পর্যন্ত বিস্তৃত একটি একক আরব রাষ্ট্র গঠন এই বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে আরবরা তুর্কিদের কবল থেকে গিয়ে পড়লো ফ্রান্স ও বৃটিশদের কবলে৷ ফরাসি ও ইংরেজরা অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত করলো পুরো আরব বিশ্বকে৷ আর মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিলো ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে৷ অথচ এ রাষ্ট্রটি হওয়ার কথা ছিলো আফ্রিকাতে৷ ফ্রান্স, বৃটিশের ষড়যন্ত্রে ইহুদীরা আপাত লাভবান হলেও আরবের মুসলমানদের হলো স্থায়ী ক্ষতি৷

শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে শুধু মিসর ছিলো বৃটিশদের দখলে৷ শেষে পুরো আরব বিশ্ব বৃটিশ ও ফ্রান্সের দখলে চলে এলো৷ আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে তুর্কিদের অটোমান সাম্রাজ্য একেবারে ছোট হয়ে এলে৷ এককালের অর্ধপৃথিবী শাসনকারী দেশটির নাম দেয়া হলো ইউরোপের রুগ্ন রাষ্ট্র৷ এসবকিছুর মূলে ছিলো তিনটি ব্যক্তি৷ তারা হচ্ছেন রোনাল্ড স্টর্স, টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স ও জেনারেল এডমান্ড অ্যালেনবাই৷ লরেন্স আরব বিদ্রোহে সরাসরি অংশ নিয়েছেন। বিশাল আরব উপদ্বীপে নিজের বৃত্তের মধ্যে তিনি অচিরেই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি ছিলেন সেখানকার আরব বিদ্রোহের মস্তিষ্ক। আরবে তখন অনেকগুলো দল, উপদল ছিলো৷ তাদের নিজেদের মধ্যেও ছিলো দ্বন্দ্ব সংঘাত৷ লরেন্স বিচ্ছিন্ন আরব গোত্রগুলোকে সংঘটিত করেছেন এবং কায়রোর ইংরেজ প্রশাসনের সাথে তাদের যোগাযোগের ভিত রচনা করেন৷ সামরিক কুশলী হিসেবে লরেন্স সফলতা অর্জন করেন। উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আরবদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে – এই মর্মে যুক্তরাজ্য 'হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তিতে' রাজি হয়েছিল। চুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষের নিজস্ব অভিমত ছিল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মূল চুক্তি পরিত্যাগ করে এবং অত্র এলাকাকে ১৯১৬ সালের 'সাইকস-পিকট চুক্তি' মোতাবেক বিভক্ত করার পরিকল্পনা করে। ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা আরো সমস্যা সৃষ্টি করে। এই ঘোষণায় ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনে রাষ্ট্র ঘোষণার কথা বলা হয়।

যুদ্ধকালীন সময়ে তুর্কী সেনারা লরেন্সকে আটক করে। সেনা দপ্তরে তিনি ব্যাপক বর্বরতার শিকার হন। এর ফলশ্রুতিতে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যতা হারান৷ এমনকি ইংরেজদের মধ্যপ্রাচ্য নীতিরও সমালোচনা করেন শেষ জীবনে৷ লরেন্স এর জীবনটা পরিপূর্ণ থ্রিলিংএ ভরপুর৷ তিনি ছিলেন এক জীবন্ত থ্রিলার৷ ১৯৩৫ সালে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷

বইটি ঢাকার পুরানাপল্টনে পুটপাথে বইয়ের দোকানে দেখে অল্পদামে কিনে নিলাম৷ তখন লরেন্স সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না৷ তার পুরো জীবন জানার জন্য বইটি অসাধারণ৷ বইটির মাঝে লরেন্সের বেশ কিছু আলোকচিত্র রয়েছে৷ যদিও ছবিগুলো সাদাকালো তবে বেশ স্পষ্ট৷ লরেন্সকে নিয়ে একটা বিখ্যাত মুভিও আছে৷ নাম, 'লরেন্স অব অ্যারাবিয়া'৷ এডওয়ার্ড সাঈদের মতে এ মুভিটি স্পষ্টত প্রাশ্চাত্যবিদদের বর্ণবাদী সৃষ্টি৷ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ নিয়ে লরেন্সের নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বেশ কিছু বই রয়েছে৷

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন