

বরকতময় যমযম
হাজারো বছর আগের কথা। মক্কার বিরাণ ভূমিতে তখন কোনো জলধারা ছিল না। বিশাল মরুভূমির মাঝে নবী হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর শিশুপূত্র ইসমাঈল ও তাঁর মা হজরত হাজেরা তৃষ্ণায় ছটছট করছেন। তৃষ্ণায় মরিয়া মা ছোটাছুটি করছেন পাহাড়। থেকে পাহাড়ে- সাফা ও মারওয়ায়। মা জানেন না, কোথা থেকে আসবে বাঁচার উপায়।
কোথায় পাবেন এক ফোঁটা পানি। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস ছিল অটল। আল্লাহ কাউকে নিরাশ করেন না- এটা মা হাজেরা জানতেন। তাই হৃদয়ে ছিল তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের সবুজ চারা গজায় মরুর মাঝে। কুদরতিভাবে সৃষ্টি হয় যমযম। যেখানে ছিল শূন্যতা, সেখানে আসে অফুরন্ত জীবন। তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাঈলের পায়ের নিচে জন্ম নেয় জান্নাতি ঝরনা। সেই ঝরনা আজো তৃষ্ণা মেটায় কোটি মুমিনের।যমযম- নিছক একটি কূপ নয়; বিশ্বাসের প্রতীক, আস্থার প্রতীক গ্যমযম পানি- নিছক একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়; আল্লাহর রহমতের অপূর্ব এক নিদর্শন। যমযম আমাদের শিক্ষা দেয়- ধৈর্যের, আস্থার, আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাসের। যমযম আমাদের বার্তা দেয়- আশা-ভরসার শেষ বিন্দুটুকুও যেখানে ফিকে হয়ে যায়, আল্লাহর রহমত সেখানে সজিব হয়ে জন্মায়।
- নাম : বরকতময় যমযম
- লেখক: মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ
- প্রকাশনী: : রিজকুন কারীম প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 62
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2025