
রিভার গড (নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার) ৪০০০ বছর আগের মিশরীয় ক্রীতদাস ও প্রাচীন পটভূমির ভাব-গাম্ভির্য্য এবং সম্রাট-সাম্রাজ্যের কাহিনী।
‘রিভার গড’ বইয়ের ভূমিকাঃ
উইলবার স্মিথের অত্যাধিক আলােচিত উপন্যাস, রিভার গড বা নদী-ঈশ্বর-এর কাহিনীর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে, আছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। বইয়ের সমাপ্তিতে লেখকের বক্তব্য এই বিতর্কের মূল কারণ, বইটির অসাধারণ জনপ্রিয়তার পর তিনি লিখেছেন এর সিকুয়েল। চার হাজার বছর আগের মিশরীয় ক্রীতদাসের মূল কাহিনী থেকে লেখক কতটুকু কাব্যিক স্বাধীনতা নিয়েছেন, সে বিতর্কে আমরা যাবাে না। অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে পারি, প্রাচীন পটভূমির ভাব-গাম্ভির্য্য এবং সম্রাট-সাম্রাজ্যের বর্ণনা ফুটিয়ে তােলার জন্যে আলঙ্কারিক ভাবটুকু আনা হয়েছে অনুবাদে।
বহুদিন ধরেই উইলবার স্মিথের এই উপন্যাসটি অনুবাদের ইচ্ছে ছিলাে, অবশেষে প্রকাশক রিয়াজ খানের নিরবচ্ছিন্ন উৎসাহ এবং সমর্থনে শেষ হলাে পরিশ্রম-সাধ্য এই কাজ। আমার জানা মতে, বাঙলা ভাষায় এটিই উইলবার স্মিথের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ। চারহাজার বছর আগের পটভূমিতে রচিত হওয়ায় ভাষার আভিজাত্য উপন্যাসটির একটি বড় দিক। প্রচন্ড ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে অনুবাদ-কর্ম চালাতে হয়েছে; কিন্তু যে কোনাে ভুল-ভ্রান্তির সবটুকু দায় আমারই। ইংরেজী শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করে চেষ্টা করেছি বাংলা শব্দ ব্যবহারের। ভিন্ন কোনাে অনুবাদ-উপন্যাসে হয়তাে এর তেমন প্রয়ােজন নেই- মূল ইংরেজী শব্দ বরঞ্চ অনেকক্ষেত্রে মানানসই হয় সেখানে।
কিন্তু রিভার গডে’র বাঙলা রুপান্তরে প্রাচীন ভাব ফুটিয়ে তােলা নিতান্তই প্রয়ােজনীয় ছিলাে। বানানরীতি এবং বিশেষ কিছু আধুনিক শব্দ ও পংক্তি’র জন্যে ঋণী হয়ে রইলাম বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরােধী কবি, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী এবং গবেষক প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের নিকট। সবশেষে, উপন্যাসের শেষে লেখকের বক্তব্যে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ভূমিকার সমাপ্তি টানছি।
- নাম : রিভার গড (নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার)
- লেখক: উইলবার স্মিথ
- অনুবাদক: মখদুম আহমেদ
- প্রকাশনী: : রোদেলা প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 415
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9847011700040
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2013