
অ্যাজটেক সভ্যতায় নরবলি
নরবলির ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতি এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে খুব সুস্থ ও স্বাভাবিক মস্তিষ্কে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবীতে শুধু অ্যাজটেকরাই এই নরবলির ঘটনা ঘটায়নি। যুগে যুগে আরো অনেক জাতি করেছে এই ঘৃণ্য কাজ। বিশ্বের ইতিহাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নরবলি দেয়া হয়েছে। যা কলঙ্কিত করেছে মনুষ্যত্বকে।
এককালে প্রাচীন মিশরেও প্রচলিত ছিল নরবলির প্রথা। সেখানে একজন ফারাওয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীকে তার সঙ্গে কবর দেয়া হতো। যেন মৃত্যু পরবর্তী জীবনেও তিনি তার মনিবের সেবা করে যেতে পারেন। কারো কারো ক্ষেত্রে কেবল একজনকে নয়, অনেক দাস-দাসীরও বরণ করে নিতে হতো জীবন্ত মমি হবার দুর্ভাগ্যকে।
এছাড়াও প্রাচীন মিশরীয় দেবতা ওসিরিসের উদ্দেশে এক রাজা আরক্ত রঙের একজন মানুষকে বলি দিত। মিশরীয়রা একে কুপ্রথা না বলে ‘একটি স্বাভাবিক সামাজিক বিধান’ বলে মনে করত। প্রতিবছর নীলনদের জলে একজন করে যুবতিকে ডুবিয়ে মারা হতো। যা মিশরীয়রা বলত উৎসর্গ করা।
এভাবে ডুবিয়ে মারলে নদীর দেবতা নাকি খুশি হয়ে সারা বছর নদীকে স্রোতঃস্বিনী ও সমৃদ্ধ রাখবে।
- নাম : অ্যাজটেক সভ্যতায় নরবলি
- লেখক: আহমাদ স্বাধীন
- প্রকাশনী: : অক্ষরবৃত্ত
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 208
- ISBN : 9789849614508
- প্রথম প্রকাশ: 2023