যশোরে সরোবরে
ভূমিকা
ঢাকার বাইরে যাওয়ার কথা শুনলে সবসময় আমি উৎসাহিত হই। কিন্তু এই প্রথম মনে হচ্ছে, ছোটকাকুর সঙ্গে ঢাকার বাইরে না যেতে পারলেই বোধহয় খুশি হই। সকাল থেকেই দেখছি, শরিফ সিঙ্গপুরি বেশ কয়েকবার তার ঘর থেকে ছোটকাকুর সঙ্গে কতা বলে যাচ্ছেন।
সব কথাবার্তা আমার কানে না এলেও বুঝতে পারছি শরিফ সিঙ্গপুরি কোনো একটা সমস্যায় পড়েছেন, সেটাই সমাধানের চেষ্টার করছেন। একটু আগে শরিফ সিঙ্গাপুরি চতুর্থ বারের মতো ছোটকাকুর কাছ থেকে কথা বলে বেরিয়ে গেছেন। আমি কাজী আনোয়ার হোসেনের কুয়াশা-সমগ্র বইটা পড়ার চেষ্টা করছিলাম। শহিদ আর কামাল নামের দুজন গোয়েন্দা কঠিন কঠিন রহস্য কীভাবে উদ্ঘাটন করেন সেই গল্পই বইটাতে লেখা রয়েছে। বিই পড়ার মধ্যে আড় চোখে আমি শরিফ সিঙ্গপুরির এই আসা-যাওয়া দেখছিলাম। কিন্তু কী কারণে তার ছোটকাকুর কাছে এতবার আসা-যাওয়া সে রহস্য ভেদ করতে পারছিলাম না।
-সকাল থেকেই চারবার শরিফ সিঙ্গাপুরি তোমার কাছে এলো। আবার কি আসবে?
-মনে হয় আবার আসবে।
-বড় কোনো সমস্যা?
-সমস্যা না হলে কেউ কি আজকাল আর আমার কাছে আসে?
- তাই বলে শরিফ সিঙ্গপুরি?
কেন? শরিফ সিঙ্গাপুরির সমস্যা থাকতে পারে না?
থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে সেই সমস্যা নিয়ে তোমার সঙ্গে আলাপ কার কী আছে।
- নাম : যশোরে সরোবরে
- লেখক: ফরিদুর রেজা সাগর
- প্রকাশনী: : অনন্যা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 48
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9847010502305
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2009