

কুরআনুল কারিমের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে না বলুন
বলুন তো, ইবাদাত কাকে বলে? জবাব পেয়েছি নামায পড়া। কেউ বলছে রোযা করা। আবার কেউ বলছে হজ্জ করা ইত্যাদি। বড়জোর কেউ কেউ যাকাতের কথা বলছে। তখন আমার মনে হয়েছে-
অধিকাংশ মানুষই ইবাদাতের পুরো ব্যাখ্যা জানে না। আংশিক জানে। যা কেবল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার আদেশমাত্র। তবে নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকাও যে ইবাদাত তা খুব কম লোকই জানে। অথচ আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কুরআনুল কারিমের সুরা হাশরে বলেছেন-
“রসূল যা কিছু তোমাদের দেন তা গ্রহণ করো এবং যে জিনিস থেকে তিনি তোমাদের বিরত রাখেন তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সুরা হাশর : ৭]
এ নির্দেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ ও নিষেধের আনুগত্য করা। হযরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “আমি কোন বিষয়ে তোমাদের নির্দেশ দিলে তা যথাসাধ্য পালন করো। আর যে বিষয়ে বিরত থাকতে বলি তা থেকে দূরে থাকো।”
[বুখারি, মুসলিম]
অনেকের ইচ্ছা আছে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলার। কিন্তু কোনটি আদেশ আর কোনটি নিষেধ তা না জানার কারণে মানতে পারছে না। তখন আমার মনে হলো- নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকাও যেহেতু ইবাদাত, সেহেতু কুরআনুল কারিম থেকে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ আলাদা করে উপস্থাপন করলে সহজেই যে কেউ নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে নিজেকে বিরত রেখে ইবাদাতের আঞ্জাম দিতে পারবে। এমন ভাবনা থেকেই মূলত “কুরআনুল কারিমের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে না বলুন” শিরোনামে বইটি লেখা। বইটিতে নব্বইটি বিষয় স্থান পেয়েছে। যাতে কুরআনের আয়াত, শিক্ষা এবং দালিলিক প্রমাণ সহকারে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি মুসলিম দ্বীনি ভাই-বোন বইটি হাতের কাছে রাখলে জীবন চলার পথে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ চিহ্নিত করে নিজেকে খুব সহজেই সেসব কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। ফলে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জগতেই সুন্দর হবে। ইনশাআল্লাহ।
- নাম : কুরআনুল কারিমের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে না বলুন
- লেখক: মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ
- প্রকাশনী: : কাব্যগ্রন্থ প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 144
- ভাষা : bangla & arabic
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2024