নৃবিজ্ঞান : উদ্ভব বিকাশ ও গবেষণা পদ্ধতি
"নৃবিজ্ঞান : উদ্ভব বিকাশ ও গবেষণা পদ্ধতি" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দী আগে ইউরােপ ও আমেরিকায় নৃবিজ্ঞানের বিকাশ ঘটলেও বাংলাদেশে এখনও এর শৈশবকাল। মাত্র কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পৃথক বিভাগে-এর অধ্যয়ন ও চর্চা শুরু হয়েছে। অবশ্য সমাজবিজ্ঞানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞানের পঠন-পাঠন ও গবেষণা দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যাহত রয়েছে। ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নৃবিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের মতাে অনুন্নত, সনাতনী ও ঐতিহ্যনির্ভর সমাজসমূহের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রূপবৈচিত্র্যের অধ্যয়ন, বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান এবং যথার্থ তথ্যনির্ভর গবেষণায় নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব আজ অনস্বীকার্য। দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাভাষায় নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে কোনাে প্রামাণ্য গ্রন্থ যেমনি এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে (বাংলাদেশ ও ভারতসহ) রচিত হয়নি, তেমনি নৃবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশের উপরও কোনাে প্রামাণ্য গ্রন্থ অদ্যাবধি প্রকাশিত হয় নি। একটি নতুন অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞানের ব্যাপক পঠন-পাঠন ও চর্চার প্রয়ােজনীয়তার দিকটি অনুধাবন করেই আমরা এই গ্রন্থটি রচনার প্রয়াস পেয়েছি। আমাদের দেশে ইংরেজি ‘Anthropology’ শব্দটি বাংলাভাষায় নৃবিজ্ঞান কিংবা নৃতত্ত্ব হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এলেও বর্তমান লেখকদ্বয় এর যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ‘মানববিজ্ঞান' শব্দটির ব্যবহারই অধিক যৌক্তিক বলে মনে করেন। বর্তমান গ্রন্থে তাই নৃবিজ্ঞান ও মানববিজ্ঞান দুটো শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে। ভবিষ্যতে নৃবিজ্ঞানের স্থলে ‘মানববিজ্ঞান’ শব্দটি ব্যবহারের ইচ্ছা রয়েছে।
নৃবিজ্ঞানের উৎসাহী ছাত্র-ছাত্রী, পাঠক ও গবেষকবৃন্দ আলােচ্য গ্রন্থটি অধ্যয়নে বিশ্ব পরিসরে নৃবিজ্ঞান বিষয়ের উদ্ভব ও বিকাশ, সমাজ ও সংস্কৃতির গবেষণা এবং অধ্যয়নে নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়ােগ ও গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে কিঞ্চিৎ ধারণা অর্জন করতে পারলেও আমাদের প্রচেষ্টা কিছু সার্থক হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
- নাম : নৃবিজ্ঞান : উদ্ভব বিকাশ ও গবেষণা পদ্ধতি
- লেখক: সাইফুর রশীদ
- লেখক: আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী
- প্রকাশনী: : অনন্যা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 238
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9844126088
- বান্ডিং : hard cover
- শেষ প্রকাশ : 2015