
সূফীমতের উৎস সন্ধানে
নানী ধর্মে রহস্যবাদের মূল সন্ধান করা যেতে পারে; কারণ, আমাদের প্রস্তাবিত সূফী ধর্মও রহস্যবাদ নির্ভর। রহস্যের সম্যক্ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হয় না। আত্মগত গভীর গূঢ়-ভাব মাঝে মাঝে এমন হয় যে, 'তাকে রূপে, রেখায়, বর্ণে, ব্যাখ্যায়, বিশ্লেষণে পরগত করে দেওয়া একান্তই অসম্ভব। অথচ অনুভূতিটাকে কিছুতেই অস্বীকার করা চলে না। জ্ঞানের দ্বারা পাওয়া হলে তাকে বলে জানা। সুন্নানের কারণ বা উপীয়রূপে বর্তমান ইন্দ্রিয়গ্রাম এবং ইন্দ্রিয়াধীশ মন। ‘অবা মনসোগোচর' ভাব বাক্যকেও ফিরিয়ে দেয়, মনকেও ফিরিয়ে দেয়। অজ্ঞাত বস্তুর প্রমণিকরণ যে প্রমাণ, সে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। প্রত্যক্ষানুমানােপমান শব্দ’ পরাভূত হয়।
বৈভাষিক দর্শনের ‘অপোহ' ব্যর্থ হয়। বৈদান্তিক ক্ষীণ কণ্ঠে শুধু অঙুলি তুলে বলেন, এ আমাদের ষষ্ঠ প্রমাণ, উপলব্ধি। উপলব্ধ হলেও রহস্য রহস্যই থাকে। সে থাকে অতীন্দ্রিয় অনুভূতি হয়ে—তার উপলব্ধি “অপরােক্ষানুভূতি'। সূফীরা এই প্রকার আত্মার আভাসিত সত্যকেই পরম সত্য বলেছেন। এই আত্মগত অবেক্ষণ ইন্দ্রিয়ের পথ বেয়ে আসে না। সেই অতীন্দ্রিয় রাজ্যে ইন্দ্রিয়ানুভূতির বৈপরীত্যও ঘটে যায়। কোনো ক্ষতি হয় না তাতে। চোখ দিয়ে শুনে, কান দিয়ে দেখে মরমীদের কি যে আনন্দ! ইন্দ্রিয়ের দ্বার রুদ্ধ হলেও ভােগ-সম্ভোগের মত্ত উৎসব চলতে থাকে।
- নাম : সূফীমতের উৎস সন্ধানে
- লেখক: পার্বতীচরণ ভট্টাচার্য
- প্রকাশনী: : নালন্দা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849382065
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2019