
মধু
'প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খান, আপনার কোনো রোগ হবে না।' না, কথাটা আমার নয়, বহু যুগের বহু স্বনামখ্যাত মনীষীর এক অমূল্য কথনের পুনরাবৃত্তি মাত্র। সেই পাঁচ হাজার বছর আগে রচিত হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও বেদ-এ মধুর কথা উল্লেখ করা রয়েছে। বাইবেলে তিন ধরনের মধুর কথা বলে মধুকে 'স্বর্গীয় খাদ্য' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, আধুনিক যুগের অনেক বিজ্ঞানীও একই কথার পুনরাবৃত্তি করছেন, একই সুরে সুর মেলাচ্ছেন। সাধারণভাবে বলা যায়, মধু এমন একটি প্রাকৃতিক খাদ্য, যা লক্ষ লক্ষ মৌমাছি বা মধুমক্ষিকার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সেবামূলক জীবনের ফসল। এই ফসল মৌমাছিরা নিজেদের প্রয়োজনে যেমন ব্যবহার করে, তেমনি মানুষসহ অনেক প্রাণীই প্রাকৃতিক পুষ্টিকারক খাদ্য হিসেবে মধু ব্যবহার করে। মানুষের কাছে মধুর পরিচয় কেবল পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবেই নয়, বরং অনেকক্ষেত্রে ওষুধের বিকল্প হিসেবে বা প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু তা-ই নয়, মধুর উপযোগিতা আরো অনেক বেশি ব্যাপক। পরবর্তী অধ্যায়সমূহে এসব বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
- নাম : মধু
- লেখক: অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্রকাশনী: : জনতা প্রকাশ
- ভাষা : bangla