
স্বরণশক্তি বাড়ানোর উপায়
স্মৃতি মানুষের মস্তিষ্কের এক গুপ্ত ধনভাণ্ডার। এই ধনভাণ্ডারকে যত্নের সাথে রক্ষা করা গেলে জীবন জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর আধ্যাত্মিকতায় ভরে ওঠে। ইসলাম এক পরিপূর্ণ জীবনবিধান, যা কেবল আত্মার নয়, মস্তিষ্কের বিকাশেও অসাধারণ দিশা দেয়। কুরআন-সুন্নাহ এবং সালাফদের জীবন থেকে আমরা এমন কিছু অনুশীলন খুঁজে পাই, যা একইসাথে স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করে এবং আত্মাকেও সজীব রাখে।
এই অনুশীলনের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কুরআন তিলাওয়াত ও মুখস্থ করার অভ্যাস। প্রতিটি আয়াত মুখস্থ করার মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়, যেখানে বারবার ফিরে গিয়ে আল্লাহর বাণী স্মরণ ও উপলব্ধি করা যায়। যারা কুরআনের হাফেজ, তাদের স্মৃতিশক্তির প্রখরতা ব্যক্তিগত ও সামাজিক-উভয় ক্ষেত্রেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হাদিসে এমন মানুষের হৃদয়কে ‘বিরান ঘর’ বলা হয়েছে, যার মধ্যে কুরআনের কোনো অংশ নেই।স্মৃতিশক্তির উন্নতির জন্য দুআ এবং আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের প্রিয় নবি নিজেও আল্লাহর কাছে উপকারী জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য দুআ করতেন। এই দুআ প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে ঝরনার মতো প্রবাহিত হওয়া উচিত। কারণ, স্মৃতিশক্তি কেবল চেষ্টা ও অনুশীলনের ফল নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অদৃশ্য দান, যা তাওয়াক্কুল ও তাকওয়ার (আল্লাহ-ভীতি) মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, গুনাহ এমন এক কালো ধোঁয়া, যা হৃদয়ের আয়নাকে ধীরে ধীরে আচ্ছন্ন করে দেয়।স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা অনেক সময় অন্তরের পাপের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।
পাপের কারণে মন কলুষিত হয়, মনের দেয়ালে জং ধরে। যেমন পুরোনো লোহার মধ্যে জং ধরে। আর মুখস্থ হচ্ছে এমন চর্চা, যা মেধা ও হৃদয়ের যৌথ চেষ্টায় সংরক্ষিত ফল। মেধা গ্রহণ করে আর হৃদয় তাকে ধারণ করে। হৃদয়ের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে গবেষকগণ বলেছেন, মন হচ্ছে একটি পাত্রের মতো, যাতে কোনো কিছু দিয়ে ভরতে থাকলে বিপরীত বিষয় উপচে পড়ে। কাজেই যদি মনকে ভালো কিছু দিয়ে পূর্ণ করা হয় তাহলে পাপ সরে যায়। আর পাপ দিয়ে পূর্ণ করা হলে ভালোটুকু সরে যায়।
- নাম : স্বরণশক্তি বাড়ানোর উপায়
- লেখক: মাহদী আবদুল হালিম
- প্রকাশনী: : মাকতাবাতুন নূর
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- ভাষা : bangla
- ISBN : 978-984-99725-6-3
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025