জান্নাতি দুলহান
উহুদ যুদ্ধের পরের কথা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজন সাহাবীকে মক্কা এবং তার আশপাশের এলাকায় প্রেরণ করলেন। গুপ্তচর হিসেব। দলপতি আসেম বিন সাবেত (রা.)। হাদআ (স্থানের নাম) পৌঁছার পর লিহয়ান গোত্র তাঁদের আগমন সম্পর্কে অবগত হলো। সাথে সাথে দু‘শজন তীরন্দাজের এক বাহিনী পাঠালো। কাফেররা সাহাবীদের অনুসন্ধ্যান করতে করতে এক স্থানে এসে কিছু খেজুরে বীচি দেখতে পেলো। সাহাবীরা সেখানে বসে খেজুর খেয়েছিলেন। বিচীগুলো দেখে কাফেররা বলে উঠলো- এই তো ইয়াসরিবের খেজুর! সেখান থেকে সাহাবীদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে অগ্রসর হতে থাকলো। একপর্যায় খোঁজ পেয়ে গেলো সাহাবীদের। সাহাবীদের ক্ষুদ্র দলটি শত্রুদের দেখে একটি উঁচু টিলায় আশ্রয় নিলো। শত্ররা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেললো। বললো- উপর থেকে নেমে এসো। স্বেচ্ছায় বন্দিত্ব বরণ করো। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- তোমাদের কাউকে হত্যা করবো না।
সাহাবীরা পরামর্শ করলেন। দলপতি আসেম (রা.) বলেন- আল্লাহর শপথ! শহীদ হতে প্রস্তুত তবুও কাফেরদের নিরাপত্তা গ্রহণ করবো না। হে পরওয়ার দিগার! আপনি আপনার রাসূলকে আমাদের সংবাদ পৌঁছে দিন!
দু‘পক্ষ থেকে তীরন্দাজি শুরু হলো। কাফেরদের অনবরত তীর নিক্ষেপে আসেম (রা.)-সহ সাতজন সাহাবী শহীদ হলেন। বাকি তিনজন কাফেরদের প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে নিচে নেমে এলেন। তাঁদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বেঁধে ফেললো। এক সাহাবী সহ্য না করতে পেরে বলে উঠলেন- ‘গোড়াতেই বিশ্বাস ঘাতকতা! আমি যাবো না।’ তাঁকেও শহীদ করে দেয়া হলো।
বাকি রইলেন- হযরত খুবাইব ও যায়েদ ইবনে দাসিনা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা। এঁদের মক্কায় নিয়ে বিক্রি করে দিলো।
বদর যুদ্ধে খুবাইব (রা.) হারেস বিন আমেরকে হত্যা করেছিলেন। হারেসের সন্তানরা পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ছিলো। তাই খুবাইব (রা.)-কে কিনে বন্দি করে রাখলো.
- নাম : জান্নাতি দুলহান
- লেখক: নাজমুল বিন নিজাম কাসেমী
- প্রকাশনী: : রাহে জান্নাত কুতুবখানা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 120
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2023