
নিদ্রাতুর সুন্দরী
নেমুরেরু বিজোও নামে মূল উপন্যাসিকাটি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। প্রাণিজগতে বিবর্তনের পথ ধরে মনুষ্যপ্রজাতির উদ্ভব হওয়ার সময়, তার চেতনার মূল অবলম্বন ছিল যে প্রত্ন-মন, সেটিকে সে আজও বহন করে চলেছে। জন্মাবধি ব্যক্তিমানুষের প্রতিটি মুহূর্তের অভিজ্ঞতা এক জটিল পথে
গড়ে তোলে তার অবচেতন মন, যার নির্দেশে নির্ধারিত হয় তার প্রতিক্রিয়া। আর সচেতনে স্মৃতিতে ধারণ করা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে বিবেচনার অধিকারী হয়, ভাষার মাধ্যমে সামাজিকভাবে তা বিনিময়ের প্রয়াস পেতে পারে। ভাষার যুক্তিগত কাঠামো তুলনায় সরল ও সুনির্দিষ্ট, তার ভিত্তি
সামাজিক পরিসরে জীবনের সুস্পষ্ট অভিজ্ঞতা। এই উপন্যাসিকায় প্রবীণ এগুচির মৃত্যুচেতনা, দৈহিক কামনা, স্মৃতি আর সৌন্দর্যের আকর্ষণে সৃষ্ট নানা সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ কাহিনীতে উন্মোচিত হতে থাকে। যে পথে মানুষের প্রত্ন-মন, অবচেতন মন ও সচেতন মন একযোগে
ক্রিয়াশীল হয়ে মানুষটির পক্ষপাত, প্রতিক্রিয়া ও উদ্যমের জন্ম দেয় তা রহস্যাবৃত। সেই প্রক্রিয়ার বিকাশকে অনুমান, অনুভব ও পর্যবেক্ষণ করার দুঃসাহস কোনো লেখক অর্জন করলেও, অনুধাবনের অভ্যস্ত প্রক্রিয়াকে আশ্রয় দিতে পারার মতো সময়ানুক্রমিক, সুসম্বন্ধ কাঠামোর বাক্যে তাকে
প্রকাশ করা দুরূহ, পরিস্থিতি বিশেষে অসম্ভব। তবু সৌন্দর্যচেতনা ও সৌন্দর্যলিপ্সার কেন্দ্রে ক্রিয়াশীল এক সুপ্ত উৎকণ্ঠার হদিস, মনস্তত্ত্বের গভীরতর সব তলের দার্শনিক কাওয়াবাতার এই উপন্যাসিকা।
- নাম : নিদ্রাতুর সুন্দরী
- অনুবাদক: অভিজিৎ মুখার্জি
- লেখক: ইয়াসুনারী কাওয়াবাতা
- প্রকাশনী: : পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2025