Granadar Shesh Birer Golpo Shono (গ্রানাডার শেষ বীরের গল্প শোনো)

গ্রানাডার শেষ বীরের গল্প শোনো

৳100.00
৳68.00
32 % ছাড়

গ্রানাডার শেষ বীর ‘মুসা বিন আবী গাসসান’ ১৪৯১ খ্রিস্টাব্দ। তৃতীয়বারের মতো গ্রানাডা অবরোধ করেছেন ক্যাস্টোলার শাসক পঞ্চম ফার্ডিন্যান্ড। শেষবারের মত অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নামলো গ্রানাডাবাসী। তরুণরা সিদ্ধান্ত নিলো শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তারা খ্রিস্টানবাহিনীর মোকাবিলা করবে। এই সময়ে তরুণদের নেতৃত্বে ছিলেন মুসা বিন আবী গাসসান।

তিনি দীপ্তকন্ঠে ঘোষণা দেন, খ্রিস্টান সম্রাট জেনে রাখুক, আরবদের জন্মই হয়েছে বর্ষা নিক্ষেপ ও ঘোড়ায় আরোহণের জন্য। শত্রুদের বিলাসবহুল প্রাসাদে অবস্থান করার চেয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করে গ্রানাডার কোনো ভগ্নদেয়ালের নিচে নিজের কবর নির্ধারণ করা আমার কাছে অধিক প্রিয়। শুরু হলো যুবকদের প্রতিরোধ।

আল হামরা প্রাসাদে বসে ইতিপূর্বে করা নিজের ভুলের মাশুল দিচ্ছিলেন দূর্বল শাসক সুলতান আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনুল আহমার আস সগির। টানা সাত মাস যুবকদের সঙ্গে খ্রিস্টানবাহিনীর লড়াই চলতে থাকে। ফার্ডিন্যান্ডের বাহিনী গ্রানাডার বাইরে থাকা গ্রামগুলোর উপর হামলা করে সবকটি গ্রাম দখল করে নেয়। শুধু ফাখখার গ্রামটি তখনো তারা দখল করতে পারেনি। এই গ্রামের দখলকে কেন্দ্র করে মুসলিমবাহিনীর সাথে তাদের বেশ কয়েকটি লড়াই হয়। খ্রিস্টানদের অনেক সেনা নিহত হয়।

তবু তারা গ্রামটির দখল নিতে পারছিল না। মুসলমানরা প্রায়ই খ্রিস্টান শিবিরে গেরিলা হামলা চালাতো। অবরোধ ও প্রতিরোধ দীর্ঘ হয়ে উঠে। মুসলমানদের সেনাসংখ্যাও কমতে থাকে। শীতের শুরুতে তীব্র তুষারপাত হয়। বন্ধ হয়ে যায় বাশারাহগামী সড়ক। ফলে বাহির থেকে গ্রানাডায় রসদ আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়। বেড়ে যায় দ্রব্যমূল্য ও ভিক্ষাবৃত্তি। আবু আবদুল্লাহ ক্রমেই নিজের ও নিজ পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠছিলেন। তিনি আত্মসমর্পণে আগ্রহী ছিলেন কিন্তু জনরোষের কথা ভেবে চুপ ছিলেন। অবরোধের শুরুতেই সুলতান এবং তার আমীরদের অনেকে নিজ মালিকানার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। গ্রানাডার পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।

শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের একাংশ সুলতানের সাথে দেখা করে তাকে আত্মসমর্পণ করার অনুরোধ জানান। সুলতান এমন কিছুর অপেক্ষায়ই ছিলেন। তিনি দ্রুত আমিরদের পাঠালেন ফার্ডিন্যান্ডের কাছে। দ্রুত উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যায়। মাক্কারীর বর্ননা মতে, এই সমঝোতা-চুক্তিতে মোট ৬৭টি শর্ত ছিল।

চুক্তির ধারাগুলো ছিল চমকপ্রদ। যেমন, খ্রিস্টানরা মুসলমানদের মসজিদে প্রবেশ করবে না। মুসলমানদের আদালত ও বিচারকার্য শরিয়াহ অনুসারেই হবে, কোনো মুসলমানকে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হবে না, মুসলমানদের সম্পত্তির মালিকানা তাদের হাতেই থাকবে, কোনো খ্রিস্টান ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে কোনো বাধা দেয়া হবে না। কোনো মুসলমান খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলে আদালতের মাধ্যমে তার ফায়সালা হবে। তদন্ত করা হবে তাকে কেউ চাপ দিয়েছে কিনা।

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন