ইন্টারভিউ সিরিজ ৪ (ওরহান পামুক)
বিখ্যাত ফরাসি পেইন্টার এদগার দেগার শেষজীবনে কবিতার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলো। দেগা দিনরাত কবিতা লেখার চেষ্টা করলো। কয়েকদিনের জোর চেষ্টাতেও তেমন কিছু হইতেছে না দেইখা, দেগা তার কবিবন্ধু স্তেফান মালার্মেরে চিঠিতে লিখলো, ‘আমার মাথা অসাধারণ সব কবিতার আইডিয়ায় ভর্তি। অথচ আমি অনেক চেষ্টা কইরাও একটা ভালো সনেট লিখতে পারতেছি না। সমস্যাটা কী?’ স্তেফান মালার্মে জবাবে কইলেন, আমার মাথায়ও দারুণসব ল্যান্ডস্কেপের আইডিয়া আসে। অথচ আমি আঁকতে পারি না, কারণ রঙ–তুলির ব্যবহার আমি ভালোমতো জানি না। দেগা, তুমি খালি আইডিয়া দিয়া কবিতা লিখতে পারবা না। শব্দ দিয়া লিখতে হবে। দেশে রাইটিং ক্র্যাফট নিয়া কোনো আলাপ দেখলেই দেগা–মালার্মের এই পত্রালাপ আমার মনে আসে।
পেশাদারি সিস্টেমে বইয়ের লেখালেখি বা বেচাবিক্রি দেশে না থাকায় কয়েকটা বাজে ফল হইছে। একটা হইতেছে, রাইটিং ক্র্যাফট নিয়া সাধারণত তেমন আলাপ দেখা যায় না। আবার পাঠকদের মুগ্ধতা কইমা যাইতে পারে –এই আশংকা থিকা বা অন্য যে কারণেই হউক, পপুলার লেখক–কবিরা রাইটিং ক্রাফট নিয়া এমনভাবে বাৎচিত দেন যে তাতে মনে হইতে পারে, লেখা জিনিসটায় শেখার কিছু নাই, লেখালেখির পুরাটাই স্পেশাল প্রতিভার ব্যাপার; শিল্পকর্ম, পুরাটাই আকাশ থিকা শিল্পীর উপ্রে নাজিল হয় অথবা কাব্যলক্ষ্মী স্বপ্নে আইসা দিয়া যায়। ফলে, প্রতিভার বাইরেও লেখকের যে টেকনিক্যাল প্রস্তুতির দরকার আছে এই ব্যাপারে আলাপ আমি খুব একটা হইতে দেখি না। তো, পামুক এই ইন্টারভিউতে জানাইছেন, তিনি কেমনে প্রস্তুতি নেন। কিভাবে বড় একটা কাহিনীরে আগেই পুরাপুরি আউটলাইন করে নেন বা পুরা বইটারে অনেকগুলা অধ্যায়ে ভাগ করেন। স্নো উপন্যাসটা লেখার আগে কিভাবে কয়েক বছর ধইরা ফিল্ডওয়ার্ক করছেন। সেই ফিল্ডওয়ার্কের প্রস্তুতি ও পদ্ধতি নিয়া কথা বলছেন। এমন না যে শুধু ক্র্যাফট নিয়াই শুধু কথাবার্তা বলছেন পামুক ইন্টারভিউতে।
- নাম : ইন্টারভিউ সিরিজ ৪ (ওরহান পামুক)
- লেখক: ওরহান পামুক
- অনুবাদক: কে এম রাকিব
- প্রকাশনী: : বাছবিচার বুকস
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 40
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2023