মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর
"মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
১। ভয়াবহ, দুঃসহ, ধ্বংস এবং সৃষ্টির সময়। উত্থান অথবা পতনের অনিশ্চিত অন্ধকারের অনিকেত যাত্রা। আমার তখন ঘন ঘন আয়না দেখার বয়স। ফেউসা ফেউসা দাড়ি আর গোঁফের বাহারি উপস্থিতি। যৌবনের গরমে হুদাই ফালমারি। সােনার বাংলা শ্মশান কেন? শেখ সাবের কাছে ক্ষমতা পাকিরা দেয় না কেন? এসব শ্লোগানে মাতওয়ারার আচানক সময়। মাত্র একটা, একটা মাত্র ভাষণে যুদ্ধ কী কইরা লাইগা যাইতে পারে তার নগদ প্রমাণ ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ভাষণ যে একটা জাতিকে শাসন করতে পারে আর সেই নেতা জাতির জনকের আসনে বসতে পারে তার নগদানগদ প্রমাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আসলে ৭ই মার্চের ভাষণেই উজ্জীবিত হয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মানুষ বিশেষত যুবক সম্প্রদায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
গােটা বাংলাদেশের সাথে তকালীন মহকুমা শেরপুরের জনগণ প্রস্তুত ছিলেন। সেই প্রস্তুতির এবং সম্মুখ যুদ্ধের মর্মান্তিক কিছু কাহিনি কিছু ঘটনা এই গ্রন্থটির মধ্যে সন্নিবেশিত হয়েছে। লেখক গবেষক নন। তবে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনেক প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন দলিল সংগ্রহ করেছেন। শহীদ মুক্তিযােদ্ধাদের তালিকাসহ অন্যান্য শহীদেরও তালিকা সংযুক্ত করা আছে। বিস্তারিত তথ্য সূত্রের অভাবের কারণে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ যে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়েছিল তার প্রমাণ এই গ্রন্থ পাঠে অতি সহজেই বােঝা যায়। সাধারণ জনগণের সহযােগিতা ব্যতীত মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা চিন্তাই করা যায় না। আমাদের একাত্তরের যুদ্ধ ছিল প্রকৃত পক্ষেই একটি অসাধারণ সাহসী জনযুদ্ধ।
- নাম : মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর
- লেখক: আবদুর রহমান তালুকদার
- প্রকাশনী: : হাওলাদার প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 160
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789848967102
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2021