
শৈশবের সিঁড়িগুলো ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১
জন্মের ১০ বছর পর থেকে এ হইয়ের আখ্যানগুলাের শুরু। ১৯৬৯-এ শুরু হয়ে ১৯৭১-এ শেষ। যখন শেষ, তখন শৈশবকৈশােরের সন্ধিক্ষণ- ১২ পূর্ণ করে ১৩’য় পা দিয়েছি। বইয়ের শেষ দুটি অধ্যায় পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলাের পূর্বাপর বিশ্লেষণ । অভিজ্ঞতা শৈশবের; অক্ষরবন্দি করেছি পরিণত বয়সে। বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযােজ্য।
রামকৃষ্ণ পরমহংস বলতেন, “ঈশ্বরের বালকস্বভাব। মানে, বালকেরও ঈশ্বরস্বভাব। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ আমি সর্বার্থে বালক ছিলাম। আর, এই সময়কালেই বাংলাদেশের জন্ম ! একই সময় বাঙালির জাতীয় জীবনে শেখ মুজিবুর রহমান নামে একজন মহামানবের উজ্বল আবির্ভাব। এতটা উজ্জ্বল যে, সমগ্র বিশ্বের চোখ তার ওপর নিবদ্ধ হয়েছিল। মহামানবের ঘনিষ্ঠ সতীর্থ সৈয়দ নজরুল ইসলাম আমার গােলাপ নানা। নানার বাড়ি ও আমাদের। বাসা ময়মনসিংহ আনন্দমােহন কলেজলগ্ন মাঠের এপার-ওপার হওয়ায় ওই বাড়িতেই আমার রাজনীতির বাল্যশিক্ষা। পরিণত বয়সে বুঝেছি, মহাকালের মাঠে সবাই শিশু।
যুদ্ধের শিকার হলে এই সত্য বিশদে অনুধাবন করা যায়। তখন ছােটোবড়াে সবাই সমান অসহায়। স্বীকার করতেই হয়, বাল্যের অভিজ্ঞতা লেখালেখির জীবনে আমাকে বিপুল রসদ জুগিয়েছে। শৈশবই আমার নদীপ্রেম, বৃক্ষপ্রেম ও বইপ্রেমের বীজতলা। মহামানবের সঙ্গে প্রথম দেখাও ময়মনসিংহের শৈশবে। শৈশবেই উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অন্যদিকে, তিনটি শহরে কেটেছে আমার কৌতূহলী ছেলেবেলা- ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ। কলতাপাড়া ও গাবরগাতী নামের দুটি গ্রামেও। ছেলেবেলার বহুরৈখিক স্মৃতিচারণের পাশাপাশি বাংলা ও বাঙালির শ্রেষ্ঠতম সময়কে মূল্যায়নের সামান্য চেষ্টা এ বই।
- নাম : শৈশবের সিঁড়িগুলো ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১
- লেখক: আবু হাসান শাহরিয়ার
- প্রকাশনী: : ভাষাচিত্র
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 166
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849410539
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2019