মুক্তিযোরদ্ধারা কখনো হারে না
ডান বগল থেকে ক্রাচটা ফসকে পড়ে গেলেও নিজকে সামলে নিতে পারলেন আমজাদ হােসেন। আসলে ক্রাচে ভর দিয়ে আর চলতে ইচ্ছে করে না ওঁর: বড় কষ্ট হয়-বগল দুটোয় কড় পরে গেছে; বেশ ব্যথা হয়। ক্রাচের বিকল্প হুইল চেয়ার; কিন্তু হুইল চেয়ার নিলে আরেকজনকে নিতে হবে ঠেলার জন্য। তিনি তাে পঙ্গু নন, তাহলে হুইল চেয়ারে বসে আরেকজনের ঠেলায় চলবেন কেননা? একজন এগিয়ে এসে ক্রাচটা তুলে দিতে চাইলে তিনি চোখের ইশারায় নিষেধ করলেন; বাম পায়ে ভর রেখে আস্তে আস্তে উপুর হয়ে ক্রাচটা তুলে ডান বগলে ঠেকালেন। কলেজ রােডস্থ মুক্তিযােদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে এলেন।
এটা তার প্রিয় এবং ক্ষোভ প্রকাশের জায়গা। এখানকার সবাই তাঁকে চেনে। তিনি অসহায় মুক্তিযােদ্ধাদের সাথে অতীত আলােচনা করে তপ্ত হন এবং বর্তমান আলােচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুনর্বাসন কেন্দ্রের সদর দরজা সবসময় খােলাই থাকে। আমজাদ হােসেন বারান্দায় উঠতেই জব্বার বললাে, আসসালামু আলাইকুম স্যার। ভালাে আছেন স্যার? | আমজাদ হােসেন জব্বারের মাথায় মৃদু চাটি মেরে বললেন, তােকে না কতবার মানা করেছি আমাকে স্যার বলবি না।
আমি তাের স্যার না। তাছাড়া আমি কোনাে মাস্টার বা কোনাে অফিসের কর্মকর্তাও না। মনে থাকে না কেনাে জব্বার? তােকে কি মেন্টাল ডাক্তার দেখাতে হবে? জব্বার আকর্ণ বিস্তৃত সরল হেসে বললাে, মনে থাকে না স্যার।
- নাম : মুক্তিযোরদ্ধারা কখনো হারে না
- লেখক: রানা জামান
- প্রকাশনী: : শিরীন পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 91
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9847003769
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2012