এই শিশুই আল্লাহর অসীম কুদরতে সকলের অগােচরে অন্ধকার গুহায় ইব্রাহীম নামে নমরুদের প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে বড় হতে লাগল । শিশু ইব্রাহীম অন্ধকার গুহা থেকে আলাে ঝলমলে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে বের হয়। (ফেরেশতাদের সহায়তায়) বৈচিত্রময় প্রকৃতির রূপ দেখে বিস্মিত হলেন। তার মনে প্রশ্ন জাগে, কে এসব সৃষ্টি করেছেন? আমি কে? কে আমাকে সৃষ্টি করেছেন? গাছ গাছড়া, তরুলতা, পশু পাখি, কীটপতঙ্গ বিচিত্র এদের আচরণ, বৈচিত্রময় এদের জীবন, এক একটা এক এক রূপে আশ্চৰ্যজনক, কত রূপ, নানান সুর, বিভিন্ন স্বর, সুমিষ্ট গম্ভীর, প্রাণ উদাস করা, হৃদয় হরণ করা, এসব কোথা থেকে এল, কে সৃষ্টি করল? তিনি উর্ধ্বপানে চাইলেন,

ধরা ছোঁয়ার বাইরে, কত উঁচুতে কিসের উপর ভর করে নীল সামিয়ানা টাঙ্গীয়ে আকাশ একইভাবে স্থির থাকছেঃ শিশু ইব্রাহীম এসব ভাবতে ভাবতে গুহায় ঢুকে পুনরায় বের হয়, সব কিছু নতুন নতুন লাগে। উর্ধ্বপানে তাকায় সেখানে কত বৈচিত্রময় রূপ ছুঁতে ইচ্ছা করে, কাছে যেতে মন চায়, স্বচ্ছ নীল আকাশে মােহময় সাজে ফুটকি আলােক বিন্দুগুলাে। যেন সুদৃশ্য আল্পনা এঁকেছে । তিনি ভাবলেন। তাঁর মনে প্রশ্ন জাগল।

এসবের পরিচালক বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা কে? কিছুক্ষণের মধ্যে বিরাটকায় থালার মত (পূর্ণ চন্দ্র) ঝলমলে হয়ে দেখা দিলে ইব্রাহীম নিশ্চিত হলেন ঐ যে এটাই বুঝি ছােটগুলাের নিয়ন্ত্রক বা পরিচালক। আকাশ ঘন ঘন রূপ পরিবর্তন করে বা রং বদলায় এই সাদা মেঘের ভেলা ঘুরে বেড়ায় স্বচ্ছনীল আকাশে, লুকোচুরি খেলে আলােক বিন্দুগুলাে। এই কালাে মেঘের ঘনঘটা, আলােকবিন্দু লুকিয়ে পড়ে, হারিয়ে যায় মেঘের আড়ালে। মেঘ সরে পড়ে অন্ধকার কেটে যায়। পুনরায় দ্বিগুণ তেজে আলােক উদ্ভাসীত হয়, ইব্রাহীম স্বস্তি পায়, চমৎকৃত হয়। রােজকার পর্যবেক্ষণে ছােট ছােট বিন্দু গুলাে দেখা যাচ্ছে, বড়টা যেন ছােটগুলােকে ডাকছে, কিন্তু তারা পূর্বের অবস্থানে নেই, যেন দিগন্তে ফিরে যাচ্ছে। এই যাঃ আস্তে আস্তে হারিয়ে গেল? (মিলিয়ে গেল) ইব্রাহীম উর্ধ্বাকাশের পরিবর্তিত রূপে মুগ্ধ হয়। আরও খুঁজতে

• নাম : হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর জীবনী
• লেখক: হাজেরা বেগম
• প্রকাশনী: : শিরীন পাবলিকেশন্স
• ভাষা : bangla
• বান্ডিং : hard cover
• পৃষ্ঠা সংখ্যা : 62
• প্রথম প্রকাশ: 2016