
নবীর দেশে হাজীর বেশে ১
শতো আবেগে উদ্বেলিত হয়ে করতে হয়—তাওয়াফ—সাত
চক্কর। তখন হাজরে আসওয়াদ বামে আর ওই সবুজ বাতি ডানে।
এখান থেকেই শুরু।
এই সাত চক্করের সময় হৃদয় মনে—
যে অনুভূতি জাগ্রত হয়,
যে ভাবাবেগ হৃদয়াকাশে ছেয়ে যায়,
আকাশ সংযোগের প্রতি যে ব্যাকুল অস্থিরতা তৈরি হয়,
তা কোনো কবি তার কাব্যে তুলে ধরতে পারবে না।
কোনো শিল্পী ও আঁকিয়ে তার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারবে না।
কোনো শব্দ-জাদুগর কোন্ শব্দে তা বন্দি করতে পারবে?
সে এক অদ্ভুত বিস্ময়কর বিরল অনুভূতি।
আসমান জমিনের সংযোগে মহীয়ান।
স্বপ্ন-স্বপ্ন ও মিষ্টি-মিষ্টি অনুভূতি—মুগ্ধতায় ছাওয়া।
শুধুই অনুভবীয়।
না কোনো কাব্যধারায় তা সাঁতার কাটে না।
কোনো কথাশিল্পে তা ধরা দেয় না।
কোনো চিত্রকল্পেও তা দৃশ্যমান হয় না।
তাওয়াফের শেষ চক্করে এই অনুভূতির নদীতে আসে—জোয়ার।
কিংবা এই অনুভূতির ফুলবাগানে জাগে—বসন্ত।
হৃদয়ের এই ব্যাকুল অনুভূতি পৃথিবীর সব ব্যাকরণ ভেদ করে
যেনো সরাসরি আশ্রয় নেয় দরবারে ইলাহিতে। দৃশ্যত: দেখা যায়—
সে মাতাফের সাদা সাদা মার্বেলে ঘুরছে—তাওয়াফ করছে, কিন্তু তার
সব বিচরণ তখন ওই মহালোকে—আরশে রহমানে!
কতো দুআ!
কতো চাওয়া!
কতো আবেদন!
কতো নিবেদন!
অনন্য এক আবহে সে সময় পার করতে থাকে। মাতাফ আর
আরশের মহা-সংযোগ মোহনায় সাঁতার কাটতে থাকে। সপ্তম চক্করের
একেবারে শেষ বেলায় হাজরে আসওয়াদের বাম-বরাবর এসে যখন
সে তাওয়াফের সমাপ্তি টানে, তখন দুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক যেনো
টুটে যায়—পূর্ণ আল্লাহময়তায় সে ডুবে যায়! ধ্বনিত হতে থাকে
নিবেদিত কণ্ঠে—আল্লাহ, আমার আল্লাহ!
দাও, আমাকে দাও!
দিয়েই দাও! তুমি না-দিলে আর কে দেবে!
তোমার কাছে ব্যর্থ হলে আর কোথায় পাবো!
- নাম : নবীর দেশে হাজীর বেশে ১
- লেখক: মাওলানা ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী
- প্রকাশনী: : কানন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 304
- ভাষা : bangla
- ISBN : 978-984-94718-7-5
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025