উষার দুয়ারে
পুলিশ ভেঙে ফেলল ১৯৫২ সালের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি। শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পেলেন ফরিপুর কারাগার থেকে অনশন ধর্মঘট করার পর। তাঁর আব্বা তাঁকে নিয়ে গেলেন গ্রামের বাড়িতে।সেখানেই মুজিব জানতে পারলেন তাঁর নেতা সোহরাওয়ার্দীর মনোভাব- বাঙালিদেরও উর্দু শিখতে হবে। এবার কী করবেন মুজিব? তাজউদ্দীনরা ভাবছেন, একটা আলাদা দল করতে হবে। গণতন্ত্র দল গঠনের তৎপরতার সঙ্গে খানিকটা যুক্ত থাকলেন তিনি। মওলানা ভাষাণী কারাগারে।
সেখান থেকে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া, তাজউদ্দীনের আওয়ামীতে যোগ দেওয়া, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, এ কে ফজলুল হকের প্রধানমন্ত্রী হওয়া, আর শেখ মুজিবের মন্ত্রিত্ব লাভ এবং মন্ত্রীর বাড়ী থেকে সোজা জেলযাত্রা। তিনটি শিশুসন্তান নিয়ে রেনুর অকূলপাথারে পড়ে যাওয়া।রাজনীতির ডামাডোল ওলটপালট করে দেয় ব্যক্তিমানুষেরও জীবন।এই রাজনীতির গতি-প্রকৃতি কেবল একটি দেশের নেতা বা জনগণ নির্ধারণ করে না, তা নির্ধারণের চেষ্টা চলে ওয়াশিংটন থেকেও।
ব্যাঙ্গামাআর ব্যাঙ্গামি তো তা-ই বলতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষের ইচ্ছাই কি জয়ী হয় না? ভূমিকা যারা ভোর এনেছিল বেরিয়েছিল ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এবার বেরুচ্ছে উষার দুয়ারে। এটি আসলে যারা ভোর এনেছিল উপন্যাসের পরবর্তী পর্ব। আগের বইটির মতোই এই কাহিনি রচনাকালে বিভিন্ন বই থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপকভাবে। কোথাও কোথাও নেওয়া হয়েছে একেবারে দুহাতে, কোথাও করা হয়েছে পুনর্লিখন।
এবার সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করা হয়েছে ২০১২ সালে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্নজীবনী থেকে। তার পরও বলব, এই বই উপন্যাস,ইতিহাস নয়। বাংলাদেশের নামে এই প্রিয় দেশটি আমরা কীভাবে পেলাম, কারা ছিলেন আমাদের স্বাধীনতার ভোরের কারিগর, কেমন মানুষ ছিলেন তাঁরা- ইতিহাসের নির্জীব শুষ্ক মানুষ নয়, জীবন্ত মানুষ-এই কাহিনীতে তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা ভোর এনেছিল প্রকাশের পর পাঠকের বিপুল সাড়া আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আনিসুল হক [email protected]
- নাম : উষার দুয়ারে
- লেখক: আনিসুল হক
- প্রকাশনী: : প্রথমা প্রকাশন
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2019