আমার মুক্তি ওই আকাশে
ছেলেবুড়ো সবাই যখন স্কুল মাঠে জলকেলি করছেন তখন সেখানে একজন উপস্থিত নেই। তিনি হলেন হেড স্যার সাবের আহমেদ। তিনি নরেন বাবুকে খুঁজতে বের হয়েছেন। এ অতি আনন্দের মুহূর্তে তিনি স্কুলে আসেননি। এটা খুবই অস্বাভাবিক।তাঁর হাতেই আবুল হাশেম গড়ে উঠেছে। খুঁজতে খুঁজতে তিনি নরেন বাবুকে আবিষ্কার করলেন গ্রামের বিখ্যাত 'ঝিল্লা' পুকুরে।অদ্ভুত ব্যাপার হলো তিনি পুকুরের মাঝে কোমর ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর টাক মাথায় চাঁদের আলো চিকচিক করছে সাবেরসাহেব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, নরেন বাবু, আপনি এইখানে কী করেন?
জানেন না আবুল হাশেম বোর্ডে পঞ্চম হয়েছ? সবাইতো আপনাকে খুঁজছে। নরেন বাবু কেমন যেন ঘোরের মধ্যে উত্তর দিলেন, "স্যার, চাঁদের আলো খাই। পানিতে দাঁড়াইয়া এ আলো খাইতে বড়োই সুস্বাদু।" তারপর গানে টান দিলেন, “লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে না গো না, চাঁদ নয়, আমার বন্ধু এসেছে। “ হেড মাস্টার সাহেব গভীর বিস্ময়ে অংকের পন্ডিতের দিকে তাকিয়ে রইলেন। সে রাতেই নরেন স্যারের মাথা পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেলো।
- নাম : আমার মুক্তি ওই আকাশে
- লেখক: বাদল সৈয়দ
- প্রকাশনী: : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 94
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849426233
- প্রথম প্রকাশ: 2021