সন্ধ্যার ভায়োলিন
চাচাতো বোনকে ভালোবাসার অপরাধে ভুবনেশ্বরী নাম দিয়েছিল তার ‘প্রেমিক পুরুষ’। সুদর্শন সেই পুরুষের চেহারায় মুগ্ধ হয়ে কত যুবতী যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল, তার হিসেব নেই। অথচ সে পুরুষ কখনো দৃষ্টি ফেরায়নি অন্যদিকে; তার সমগ্র সত্তা নিমগ্ন ছিল কেবল এক নারীর প্রেমে। কিন্তু বহু বছর ধরে সেই প্রেমিকার অতীত স্মৃতির অনলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া প্রেমিক নিজেকে ঠেলে দিয়েছিলেন হৃদয়কে শ্মশানে পরিণত করে, নরকের দ্বারপ্রান্তে। সমাজকে অমান্য করে, গ্রামকে বলির পাঁঠা বানিয়ে, পিতা-পুত্রের সম্পর্ককে বিসর্জন দিয়ে, অবশেষে সে গৃহে তুলেছিল কুড়ি বছরের সাধনার পরম প্রেয়সী চন্দ্রাবালাকে—স্ত্রী রূপে। হৃদয়ের মালকিন করেছিলেন আরুরা খান অহুজানকে।
কিন্তু আজ বহু বছর পেরিয়ে গেছে। আজ আর কেউ তাকে আররাব খান আব্র বলে সম্মোধন করে না। সেই নাম, সেই পরিচয়—সবকিছুর ওপর আরোপিত হয়েছে এক ভয়াবহ কলঙ্ক: কয়েদি নম্বর ২৩৪। হিজ ম্যাজেস্টি’স প্রিজন বেলমার্শের অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে কারাগারে প্রতিটা দিন তার চারপাশে ঘনীভূত হয় পাপের ছায়া। আত্মগ্লানির দংশনে ক্ষতবিক্ষত হয় হৃদয়।
প্রশ্ন জাগে—
কেন সমাজের অমোঘ নিয়ম ভেঙে, অসংখ্য জীবনকে ছুড়ে দিলো ধ্বংসের মুখে? সে কি পারবে কোনোদিন পাপ-পুণ্যের হিসাব চুকিয়ে, তার চন্দ্রাবলার সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে? সে কি পারবে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে একবার বুকের মাঝে টেনে নিতে? সে কি পারবে আবার ফিরে যেতে খান মহলের সেই চিরচেনা আঙ্গিনায়, যেখানে কাঠবিড়ালি রূপী প্রেয়সীর সঙ্গে নতুন সংসারের স্বপ্ন দেখা যায়? নাকি তাকে শেষ পর্যন্ত পাপের প্রায়শ্চিত্তের দড়ি বরণ করতে হবে গলায়, মৃত্যুর ফাঁসিতে নাকি কারাদণ্ড?
- নাম : সন্ধ্যার ভায়োলিন
- লেখক: বৃষ্টি ইসলাম
- প্রকাশনী: : নবকথন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 350
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025





