
নীপবীথিকায় রৌদ্রছায়া
মানবজীবন কতই না বিচিত্র! প্রতিদিনের এই যে আটপৌরে জীবন তার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে কত না অজানা গল্প, রহস্য-রোমাঞ্চ আর দিবারাত্রির রহস্যময় উপাখ্যান। কেউ রোজকার এই খাওয়া, ঘুম আর সংসারের যূপকাষ্ঠে বন্দী জীবনকে পরম মোক্ষ ভেবে পরিতৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। চলমান জীবনের পৌনঃপৌনিকতায় আবদ্ধ থাকাটাকেই জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম হিসেবে মেনে নেন অধিকাংশ মানুষ। অবশ্য কিছু মানুষ জীবনের এই সংজ্ঞাকে মেনে নিতে পারেন না কিছুতেই।
প্রতিদিনের এই যে বেঁচে থাকা তাকে ছুঁইয়ে ছেনে উপভোগ করতে চান কিছু সুলুকসন্ধানী মানুষ । তারা সংখ্যার হিসেবে খুব বেশি না হলেও একেবারে বিরলপ্রজ নন। দুঃখ-সুখ, আনন্দ-বেদনা, চাওয়া-পাওয়া, আশা-নিরাশার দোলাচালে দোলায়মান দিবস-রজনী তারা উপভোগ করেন সেই একটি অবোধ শিশুর মত করে। একটি মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর যেমন প্রতিটি বস্তু দেখে বিস্মিত হয়, এসব মানুষদের ভেতরেও তেমন বিস্মিত হবার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে।
নীপবীথিকায় যেমন সারাদিন রৌদ্রছায়ার খেলা চলে, তাদের হৃদয়ের চোরাগলিতে তেমনি করে খেলা করে বিবিধ অনুভূতির দ্যুতিময় রংধনু! সেই রংধনুর কিছুটা রঙের ছোঁয়া আর কিছুটা আলো-ছায়া মেশানো সেইসব অনুভূতির নীরব সাক্ষ্য হয়ে থাকুক এই এলোমেলো ভাবনাগুলো!