

কালিমা তাইয়িবা একটি জীবন-আদর্শের দাওয়াত
ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরবের লোকেরা কালিমার মর্মার্থ বুঝে-শুনেই মুসলমান হয়েছিলেন। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে তারা কাকে কীভাবে ইলাহ মানত, সে বিষয়টিও তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল। ফলে তারা যখন মুসলমান হয়েছেন, তখন তারা তাদের প্রচলিত ইলাহগুলোকে ত্যাগ করা ও অস্বীকার করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। সাহাবিরা যে মুহূর্তে কালিমার ঘোষণা দিয়ে মুসলমান হয়েছেন, সে মুহূর্তে তাদের জীবনের আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। আজকের মুসলমানেরা কালিমা উচ্চারণ করে, কিন্তু তাদের জীবনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয় না।আমরা জন্মসূত্রে মুসলমান হয়েছি, কালিমার তাৎপর্য উপলব্ধি করার প্রয়োজন হয়নি।
কিন্তু শিক্ষিত মুসলমানরা কালিমা পড়বে অথচ কালিমার তাৎপর্য অনুধাবনে সচেষ্ট হবে না, এটা কী করে হতে পারে?মুসলমান হওয়ার জন্য কালিমা তাইয়িবা একটি শপথ বাক্য। এ শপথ ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুসলমান হতে পারে না। একজন বিচারপতি কিংবা একজন পার্লামেন্ট-সদস্যকে যেভাবে তার পদের জন্য শপথ উচ্চারণ করতে হয় এবং ঐ শপথ ভঙ্গ করলে সে নৈতিকভাবে ঐ পদের যোগ্যতা হারান, তেমনি কালিমার শপথ ভঙ্গ করলে মুসলমানিত্বের সীমানা থেকে বের হয়ে যায়।
এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কালিমা বুঝার চেষ্টা করব।সমাজের মানুষজন মুসলমান পরিচয় দিয়েও কীভাবে কালিমা অস্বীকার করছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে ইলাহ মেনে চলছে তা তুলে ধরাই এ পুস্তিকার উদ্দেশ্য।
- নাম : কালিমা তাইয়িবা একটি জীবন-আদর্শের দাওয়াত
- লেখক: মোঃ আজিজুর রহমান খান
- প্রকাশনী: : সাবাহ পাবলিকেশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 32
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2025