
শাহরু রমাদান (গুরুত্ব, ফজীলত ও করণীয়)
আল্লাহর নবি (সা) সাহাবিদেরকে রমাদানের আগমনী সংবাদ দিতেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, সাহাবিদের সুসংবাদ দিয়ে নবি (সা) বলেছেন, তোমাদের কাছে রমাদান মাস এসেছে, এটি একটি বরকতময় মাস। আল্লাহ এ মাসের রোজা তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো করে দেওয়া হয় বন্ধ। এবং আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের বন্দি করা হয়। এ মাসে একটি রাত আছে যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। যে ব্যক্তি সেই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থেকে গেল, সে (সত্যিকার অর্থেই) বঞ্চিত রয়ে গেল।
(মুসনাদে আহমাদ: ৭১৪৮, সহীহ)এখন আপনিই বলুন, এই মাস কি অন্য সময়গুলোর মতো? নাকি অনেক বেশি ফজিলতপূর্ণ? যে আল্লাহর কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে তাকে বলছি, সন্ধি করার সময় ঘনিয়ে এসেছে। যে সব সময় খালি লোকসানের শিকার হয় তাকে বলছি লাভজনক ব্যবসার সময় তো এসে গেছে। এই মাসেও যে লাভবান হতে পারল না, সে আর কোন সময় লাভবান হবে? এই মাসে সফলতার দিকে প্রতিনিয়ত আহ্বান করা হচ্ছে। তবুও আপনি ব্যর্থ হয়ে চলেছেন! সংশোধনের দিকে ডাকা হচ্ছে, তবুও আপনি পাপাচারে ডুবে আছেন!
প্রিয় ভাই ও বোন! এই মাসে রোজা পালনের ব্যাপারে কত লোকই তো আশাবাদী ছিল। কিন্তু আশা পূর্ণ হওয়ার আগেই তারা অন্ধকার কবরের বাসিন্দা হয়ে গেছে। আপনিও কি সময় ফুরানোর আগেই সুযোগটা কাজে লাগাবেন না?
- নাম : শাহরু রমাদান (গুরুত্ব, ফজীলত ও করণীয়)
- লেখক: ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহ.)
- অনুবাদক: মাওলানা আবদুল্লাহ যোবায়ের
- প্রকাশনী: : সন্দীপন প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 128
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2025