জলদস্যু
“নিকোলাস বেরি”
আমেরিকার হ্যাম্পটন শহরে অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠা এক শিশু। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবার অত্যাচারে মাকে হারায়। মায়ের মৃত্যুর পর আর হ্যাম্পটন শহরে জায়গা হয়নি ওর। এক মুঠো খাবার আর মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য এ শহর ও শহর ঘুরে কাজের সন্ধান করতে থাকল বেরি। এভাবেই কেটে গেল বেশ কিছু বছর। শেষে বহু কষ্টে বোস্টন বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া এক জাহাজে ময়লা পরিষ্কার করার কাজ পায় সে। বেরির কাজের আন্তরিকতা ও নতুন কিছু শিখতে চাওয়ার আগ্রহ জাহাজের ক্যাপ্টেনের নজরে পড়ে। ক্যাপ্টেন ওকে ক্রু হিসেবে নিয়োগ দেন এবং কয়েক মাসের মধ্যে বেরি জাহাজ চালনায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠায় অন্যান্য ক্রুরা ষড়যন্ত্র করে গভীর রাতে সমুদ্রে ফেলে দেয় তাকে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় বেরি। অজানা এক দ্বীপে আশ্রয় নেয় সে।এরপর মূলত শুরু হয় নিকোলাস বেরির নতুন এক জীবন।
নিজেকে জলদস্যু হিসেবে গড়ে তুলে সমুদ্রে ত্রাস সৃষ্টি করার সংকল্প নেয় মনে মনে। লক্ষ্যে স্থির থেকে একসময় নিকোলাস বেরি হয়ে ওঠে নিজের জলদস্যু দলের ক্যাপ্টেন নিকোলাস বেরি। একের পর এক জাহাজ লুণ্ঠন, মানুষ হত্যা, অজানা অচেনা দ্বীপ আক্রমণ করা হয়ে ওঠে তার নেশা।একদিন দাস-দাসী ক্রয় করতে নিয়ে যাওয়া এক জাহাজ আক্রমণ করে নিকোলাস বেরির জলদস্যু দল। সেই জাহাজে ছিল ত্রিজা নামক এক ফরাসি সুন্দরী মেয়ে ও বেরির সৎ বোন জেনিফার। ওদেরকেও দাসী হিসেবে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সকল দাস-দাসী নিজের কব্জায় নিয়ে জাহাজ ডুবিয়ে দিল নিকোলাস। ত্রিজা রান্না করার দায়িত্ব পেল জলদস্যুদের জাহাজে।এদিকে কিছুদিনের মধ্যে ক্যাপ্টেনের প্রেমে পড়ল ত্রিজা। কিন্তু যার মনে মানুষের প্রতি এত ঘৃণা, সমুদ্রের নোনাপানিতে যার তৃষ্ণা মেটে, তার মনে কী কখনো ত্রিজার জন্য ভালোবাসা জন্মাবে?ক্যাপ্টেন নিকোলাস বেরি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় সমুদ্রেই কাটিয়ে দেয়। তবে ১৮৮৭ সালে জিউ জোসেফ দ্বীপে রহস্যময় ড্রাগমের সন্ধানে গিয়ে সেই দ্বীপের রাজা হয় সে। তারপর আশেপাশের বেশ কয়েকটি দ্বীপ যুদ্ধ করে নিজের ক্ষমতাধীন করে। এদিকে নিকোলাস বেরির দাপট ও অত্যাচারের খবর পেয়ে আমেরিকার সরকার নিকোলাস বেরিকে বন্দী করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত নিকোলাস আমেরিকার সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।কিন্তু বেরি কখনো মানুষের হাতে মরতে চায়নি। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল ক্যাপ্টেন নিকোলাস বেরির ভাগ্যে? নিজের প্রিয় সমুদ্রেই কি সলিলসমাধি হয় জীবনযুদ্ধে হার না মানা এই সাহসী ক্যাপ্টেনের?
- নাম : জলদস্যু
- লেখক: তুর্জয় শাকিল
- প্রকাশনী: : প্রিমিয়াম পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 128
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025





