

খলিফা উমরের রাষ্ট্রনীতি
ইসলামে একটি রাষ্ট্রের ধরন, নীতি ও তার প্রায়োগিক রূপ কী—এই প্রশ্নের উত্তর জানা আধুনিক সময়ে খুব জরুরী। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ বিষয়ে নিরানব্বই ভাগ মুসলিমেরই সুস্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। ওদিকে ফিকহের বইপত্র থেকে রাজনৈতিক আহকাম ও বিধিবিধানের জ্ঞান অর্জন করা বিশেষত আম মানুষের পক্ষে, সম্ভবও নয়। ফলে জনসাধারণের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সত্য ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাস থেকে সেই অংশটুকু সুবিন্যস্ত আকারে পাঠ করা।
এক্ষেত্রে হজরত উমর রা. এর শাসনকাল তুলনাহীন। কারণ ইসলামী শাসনব্যবস্থা তখন বিকশিত হয়েছিল তার পূর্ণ রূপ ও মর্মে। তার সময়ে ইসলামের বিজয়-ইতিহাস সবচেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। রোমান-পারসিক সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে। রোমানদের আংশিক এবং পার্সিয়ান পুরো জাতি, সাথে তাদের শাসিত জনগোষ্ঠীগুলো তার শাসনাধীন হয়ে গেছে। মুসলমানরা ইতিহাসে প্রথমবার বহুজাতিক রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে।এত কিছু কীভাবে সম্ভব হলো, আধুনিক দুনিয়ায় বসেও এই প্রশ্ন শুধু বিস্ময়ের জন্ম দেয়।
কীভাবে হযরত উমর এমন এক গৌরবোজ্জ্বল রাষ্ট্রের জন্ম দিলেন, যা বর্তমানকালের উন্নত কল্যাণরাষ্ট্রগুলোর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বরং সভ্যতার সঠিক অর্থ বিবেচনায় মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদা মূল্যায়নে অনেক অনেক বেশি অগ্রসর?এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই লেখক আবদুস সাত্তার আশ-শাইখ খোঁজার চেষ্টা করেছেন এই বইটিতে। আর তা নিপুণভাবে বাংলায় অনুবাদ করেছেন দক্ষ অনুবাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ। আল্লাহ তাদের উভয়ের জীবনে বরকত
দান করুন।
- নাম : খলিফা উমরের রাষ্ট্রনীতি
- লেখক: আব্দুস সাত্তার আশ-শায়খ
- অনুবাদক: মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ
- প্রকাশনী: : মাকতাবাতুল আসলাফ
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 392
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025