
গণহত্যা চুকনগর
পাকিস্তানী হানাদারের গণহত্যার স্বাক্ষী চুকনগরের ভদ্রানদী: ভদ্রা নদী। ১৯৭১ সালের মে মাসে দক্ষিণ খুলনার ডুমুরিয়া থানার চুকনগরে পাক বাহিনীর হাতে বর্বরোচিত গণহত্যা হয়েছিল। লাশ গুলো চুকনগর ভদ্রানদীতে ফেলা হয়। নদীতে জমেছিল লাশ আর লাশ। রক্তে লাল হয়ে ছিল নির্মল নদীর পানি। নদীর প্রবাহে লাশগুলো ভেসেছে এদিক সেদিক। নদীর পাশে ছিল বটগাছ। আজ বটগাছ বৃদ্ধ হয়েছে। এই গাছে আশ্রয় নিয়েছিল মানুষ কিন্তু পাক বাহিনীর হায়নার দল গাছে কবুতরের মত গুলি করে হত্যা করেছিল।
বটগাছের কোল ঘেসে চুকনগরের কালী মন্দির, মন্দিরটি বর্তমানে সংস্কার করা হয়েছে। এই মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিল শতশত মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে। কিন্তু খান সেনারা মন্দিরে ঢুকে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল এবং তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে বেনোয়েট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছিল। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পর ভদ্রানদী হারিয়েছে নাব্যতা। বটগাছটি জীর্ণস্বীর্ণ নিশ্চিহ্ন মন্দির হয়েছে সংস্কার। কিন্তু ফিরে আসেনি তারা যাদের হয়েছিল সেদিন সলিল সমাধী। সেই দিনের সেই দৃশ্য ভয়াবহ নারকীয় উপখ্যান আজও যন্ত্রনায় বহ্নি হয়ে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভদ্রানদী, বটগাছ আর কালী মন্দির।
- নাম : গণহত্যা চুকনগর
- লেখক: ইব্রাহিম রেজা
- প্রকাশনী: : অতিক্রম
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 96
- ভাষা : bangla
- ISBN : 978984551040
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2022