মরীচিকার পিছে
অ্যালেক্স এই প্রথম তাকে হাসতে দেখছে না। জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের লাইব্রেরিতে বসে আছে মুসআব। মুসআবের সাথে অ্যালেক্সের বন্ধুত্বটা শুরু হয়েছিলো তাদের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের প্রথম ক্লাসেই। অ্যালেক্স মুসআবের হাস্যজ্বল বাচনভঙ্গি দেখে বেশ পুলকিত হয়। ধীরে ধীরে তারা ভালো বন্ধু হয়ে যায়।
মুসআবের বাবা তাদের স্বদেশের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। নানান চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে আজ তিনি এই অবস্থানে আছেন। বাড়ি থেকে ফোন এসেছিলো মুসআবের কাছে। তাকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে। তার মায়ের শরীরটা ভালো নেই। দেশের পরিস্থিতিও বেশ প্রতিকূল। কখন কি হয় কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই ছেলেকে দেখার জন্য মা অস্থির হয়ে উঠেছেন।
বন্ধু অ্যালেক্স, আমায় দ্রুতই প্যালেস্টাইন ফিরতে হবে।
কিন্তু এত তাড়া কেনো?
মায়ের শরীরটা ভালো না।
ঠিক আছে বুঝতে পারছি। কিন্তু এত তাড়াহুড়ো করো না। শুনেছি ওদিকে অবস্থা খুব একটা ভালো না।
কি বলছো ভাই আমার। মাই মাদার ইজ মাই হ্যাভেন। তার এই অবস্থায় আমি বিচলিত হবো না?
সে তো ঠিক আছে। তবে নিজের কথাও মাথায় রেখো।
জীবন ও মৃত্যুর যিনি মালিক তার উপরই আমি আস্থা রাখছি।
ঠিক আছে সাবধানে যেয়ো। আর যোগাযোগ রেখো।
- নাম : মরীচিকার পিছে
- লেখক: মোঃ ইমরান হাসান
- প্রকাশনী: : দাঁড়িকমা প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 96
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025





