moulana vasani pronito islami rochona somogro (মওলানা ভাসানী প্রণীত ইসলামী রচনা সংগ্রহ)

মওলানা ভাসানী প্রণীত ইসলামী রচনা সংগ্রহ

৳350.00
৳280.00
20 % ছাড়

জনদরদি নেতা ও জাতির শিক্ষক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বও ইহজগৎ ছেড়ে চলে গেছেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জীবনের দীর্ঘসময় কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান আমলেও তাঁকে কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানর আমলেও তাঁকে কারাগারে এবং গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে। কেউ কেউ ভাষানী সম্পর্কে বলেন, তিনি ছিলেন জ্বালাওপোড়াও আর ভাঙনের নেতা। আসলে তিনি ছিলেন একধরনের গড়ার কারিগর।

তার লক্ষ্য ও ধ্যানজ্ঞান সব কিছুই ছিল নির্যাতিত, নিপীড়ত সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক। তিনি ছিলেন সমাজতন্ত্রেও আদর্শে বিশ্বাসী। তাই অনেক নির্বোধ তাকে বিদ্রুপ করার চেষ্টা করেছে। ধর্ম-কর্ম করে, অথচ সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদের আদর্শ প্রচার করে-এ আবার কেমন মওলানা? কিন্তু ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের বৈশিষ্ট্য সেখানেই। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত চাই। কৃষকের অধিকার নিশ্চিত চাই, কিন্তু ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়। ভাসানী যখন তার রাজনৈতিক আদর্শের বৈশিষ্ট্য সেখানেই। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত চাই। কৃষকের অধিকার নিশ্চিত চাই, কিন্তু ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়। ভাসানী যখন তার রাজিৈতক কর্মকান্ড শুরু করেন, তখনও হিন্দু -মুসলমান বিভাজনরেখা এতটা প্রকট হয়ে ওঠেনি। তিনি কৃষওে মুক্তি চেয়েছেন। তাদেও অধিকার চেয়েছেন। জমিদারের উচ্চে দাবি করেছেন।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বও সিরাজগঞ্জের এক সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর ও জন্ম। খেলাফত আন্দোলন ও কংগ্রেসের রাজনীতির মদ্য দিয়েই ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনের সুত্রপাত। অত্যাচারী জমিদার শ্রেণির জুলুমের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রতিবাদী কৃষক নেতা।

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পূর্ব বাংলার বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে ময়মনসিংহ থেকে মুসলমান কৃষকেরা দলে দলে আসামে প্রবেশ করে। ধারণা করা যেতে পাওে, সরকার ও জমিদারদেও অত্যাচাওে তারা আসামে যেতে বাধ্য হয়। আসামের দুর্গম এলাকাগুলোতে এসব মানুষকে জমি দিয়ে আবাদ করানো হয়। এসময়ে অসংখ্য মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। অনেকে যায় হিং¯্র প্রাণী বাঘ-ভাল্লুকের পেটে। এই বহিরাগতদের অকান্ত পরিশ্রমে আসাম শস্যভান্ডাওে সমৃদ্ধ হয়ে উঠে। এই প্রক্রিয়ায় এই এলাকায় বাড়তে থাকে বাঙালি কৃষওে সংখ্যা। বর্ণহিন্দু ও বুদ্ধিজীবীরা এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অতঃপর ১৯২০ সালে ব্রিটিশ সরকার বহিরাগতদের একটি বিশেষ এলাকায় সীমাবদ্ধ করার জন্য লাইন প্রথার প্রবর্তন করে এবং বাঙালি কৃষকদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাতে থাকে।

মওলানা ভাসানী নির্যাতিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ান এবং বাংলা থেকে বহিস্কৃত হন। তিনি আসামে আশ্রয় নেন। ১৯২৯ সালের দিকে আসামের ধুবড়ির ঘাগমারীতে খড়ের ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। প্রথমে ভাসানী কংগ্রেসের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। একসময় তার উপলদ্ধি হয়, কংগ্রেসের রাজনীতি কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যথার্থ নয়। ১৯৩৭ সালে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগ দেন। কিছুদিন পর তিনি আসাম প্রদেশ সভাপতি ও নিখিল ভারত নির্বাহী কমিটির সদর্স নির্বাচিত হন।মূলত তারঁ সংগ্রামী আন্দোলনের কারণেই সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্গত হয়েছে।আজকে যা বাংলাদেশের অংশ।

১৯৪৮ সালের প্রথম দিকে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ববঙ্গ ব্যবস্তাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৭ মার্চ ব্যবস্তাপক সভার কার‌্যাবলি বাংলায় পরিচালনা করারর জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানান এবং এই দাবি নিয়ে পীড়াপীড়ি করেন। ১৯ মার্চ বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে বলেন, যেসব করা কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ববঙ্গ প্রদেমে থেকে সংগ্রহ করে তার শতকরা ৭৫% প্রদেশকে দিতে হবে।

  • নাম : মওলানা ভাসানী প্রণীত ইসলামী রচনা সংগ্রহ
  • লেখক: জিবলু রহমান
  • প্রকাশনী: : শ্রীহট্ট প্রকাশ
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা : 131
  • ভাষা : bangla
  • ISBN : 9789849302711
  • বান্ডিং : hard cover
  • প্রথম প্রকাশ: 2018

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন