একটা সময় আমি চাইছি সোসাইটিগুলা কিভাবে মনে রাখে আর ভুলে যায় এই নিয়া একটা উপন্যাস লিখতে। লিখব ইন্ডিভিজুয়াল কিভাবে আনকমফোর্টেবল মেমোরিজগুলা ডিল করে, মানায়ে নেয়। আমার মনে হইছে একজন ইন্ডিভিজুয়াল যেভাবে মনে রাখে ও ভুলে যায় সেটা একটা সোসাইটি যেভাবে করে তার চাইতে আলাদা। কখন জাস্ট ভুলে যাওয়া বেটার? এটা বারবার বারবার সামনে আসে। এই ক্ষেত্রে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের পরের ফ্রান্স একটা ইন্টারেস্টিং কেইস। আপনি তর্ক করতে পারেন যে আর্মি অফিসার ডি গোলে (De Gaulle) ঠিক বলছেন - আমাদের দরকার এই দেশটাকে আবার কাজে ফেরানো। কে কোলাবোরেট করছে আর কে করে নাই, এটা নিয়া বেশি চিন্তা করা উচিত না। এই চিন্তা, প্রশ্নগুলারে অন্য একটা সময়ের জন্য রেখে দেই।

কিন্তু কেউ কেউ বলবে এভাবে জাস্টিস কায়েম হয় না এবং এটা আরো বড় প্রবলেমের দিকে নিয়া যাবে। যে রিপ্রেস করে তার ব্যাপারে একজন এনালিস্ট হয়ত এভাবেই বলবে। আমি যদি ফ্রান্স নিয়া লিখতাম এটা ফ্রান্স নিয়াই বই হয়ে উঠবে।… সক্রেটিসের বেশিরভাগ ডায়ালগে যেটা ঘটে - এক লোক পথ ধইরা হাইটা যাইতেছে আর ভাবতেছে সে সব জানে। সক্রেটিস তার লগে বসে আর তারে তুলাধুনা কইরা ফেলে। এটা হয়ত ডিস্ট্রাক্টিভ দেখায় কিন্তু আইডিয়াটা হচ্ছে যে ভাল কী তার ন্যাচারটা তো ধোঁয়াশাই। মাঝে মাঝে মানুষ তাদের পুরা জীবন সচেতনভাবে ধারণ, লালন করা বিশ্বাসের উপর দাড় করায়ে রাখে। যেটা ভুলও হতে পারে। আমার প্রথমদিককার বইগুলা এসব নিয়াইঃ যারা ভাবে তারা সব জানে। কিন্তু এখানে সক্রেটিস টাইপ কেউ থাকে না। তারা নিজেরাই নিজেদের সক্রেটিস।

• নাম : কাজুও ইশিগুরোর ইন্টারভিউ
• লেখক: কাজুও ইশিগুরো
• প্রকাশনী: : বাছবিচার বুকস
• পৃষ্ঠা সংখ্যা : 40
• ভাষা : bangla
• বান্ডিং : paperback
• প্রথম প্রকাশ: 2023