
পুতুলনাচের ইতিকথা
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর (১৯০৮-১৯৫৬) রচিত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ এক গ্রাম্য ডাক্তারের কাহিনি। গাওদিয়া গ্রামের অর্থ বৈভবে বলশালী এক সম্পত্তি কেনা-বেচা ও সুদের কারবারি গোপাল দাসের ছেলে শশী। বাবার ইচ্ছায় সে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়তে যায়। এই ডাক্তারি পড়তে যাওয়া আগে শশী ছিল গেঁয়ো, কিন্তু কলকাতার বন্ধুদের সংস্পর্শে ও বইয়ের প্রভাবে তার মনের দরজা-জানালা খুলে যায়।
বহির্বিশ^ সম্পর্কে সে সচেতন হয়। কলেজের সহপাঠী কুমুদ শশীর এই নব-জন্মান্তর লাভের প্রক্্িরয়াকে ত্বরান্বিত করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। তখন থেকেই শশী জীবনকে ভাবের ছাঁচে নির্মাণ করার বাসনা লালন করতে শুরু করে। গ্রাম ও গ্রাম্যতা সম্পর্কে তার স্পষ্ট কিছু কিছু বিরাগ তৈরি হয়।<br> ডাক্তারি পড়া শেষে বাবার ইচ্ছায় সে গ্রামে থিতু হয়।
আধুনিক শিক্ষা ও গ্রামজীবনের সঙ্গে যথাসম্ভব মানিয়ে শশী গ্রামবাসীর সেবায় নিয়োজিত হয়। শশীর উদার শিক্ষিত মহানুভব সত্তায় তার বাল্যকালে দেখা গ্রামের প্রতি মায়া তৈরি হয়, এই বন্ধ-ডোবা জলাশয়পূর্ণ অজ-পাড়াগাঁ-কেই সে ব্যবহারিক জীবনে ভালোবাসতে থাকে..
- নাম : পুতুলনাচের ইতিকথা
- লেখক: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্রকাশনী: : এ্যাবাকাস পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 208
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789843377203
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2019