

দ্বীপান্তরের বৃত্তান্ত
ধনাঢ্য পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান কাসিদ আহসান উল্লাহ। মানিক চকবাজারে প্রাসাদতুল্য বাড়ি তাঁর। বিশাল অট্টালিকা। শিশুকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় পিতামাতা যত্ন সহকারে তাঁকে বিদ্যা শিক্ষা দান করেন। সুদীর্ঘকাল ধরে দেশ ও ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করে তিনি দুর্লভ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। আরবি-ফারসিসহ ইংরেজি, বাংলা, গণিত, দর্শন, ধর্মশাস্ত্র ও জ্ঞানের অন্যান্য সকল শাখায় ঈর্ষণীয় বুৎপত্তি লাভ করেন। লেখাপড়া শেষ করে তিনি স্থায়ীভাবে গৃহে ফিরে এসেছিলেন তখন অজ্ঞাত অসুখে আক্রান্ত হয়ে তাঁর আব্বা এবং আম্মাা দু’জনই ইন্তেকাল করেন। ভাইবোন কেউ না থাকায় বিশাল বাড়িতে তিনি একা হয়ে যান। এতেকরে বিরাট ভাবান্তর আসে তার মধ্যে। অবশেষে জেহাদী জীবন বেছে নেন তিনি। কাসিদের দায়িত্বগ্রহণ করে জেহাদের মূল ডেরা, অর্থাৎ সদর দপ্তরে (উত্তর পশ্চিম প্রদেশে) অর্থ ও মুজাহিদ পাঠানোর কাজে লিপ্ত হন। এতে করে বিয়ে-শাদী করার সুযোগ তো পানইনি, মানিকচরের ঐ বিশাল বাড়িতে সবসময় তিনি থাকতেও পারেন না। মাঝে মাঝেই তাঁকে বাড়ি ছেড়ে, কাসিদের কাজে সীমান্তে ছুটোছুটি করতে হয়। তারপর...? উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পড়ুন-দ্বীপান্তরের বৃত্তান্ত
- নাম : দ্বীপান্তরের বৃত্তান্ত
- লেখক: শফীউদ্দীন সরদার
- প্রকাশনী: : বই ঘর
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 254
- ভাষা : bangla
- প্রথম প্রকাশ: 2012
লগ ইন করুন ও রিভিউ যুক্ত করুন