
সুদবিহীন ব্যাংকিং
সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা। একটি বিরল ভাবনা। অনেকে সুদকে সুদ মনে করেন না। তাদের কথা ভিন্ন। তবে যারা ভাবেন সুদি ব্যাংকের কোনো বিকল্প নেই, তাদের ভাবনা খন্ডন করা প্রয়োজন। দরকার সেই ভাবনার বিরুদ্ধে কুরআন-হাদিসের আলোকে আলোচনা-পর্যালোচনা করা। ইসলামি আইন ও অর্থনীতির ওপর গবেষণাসহ নানা শ্রেণীর নানান বিতর্কের প্রতিনিয়ত সমাধান করছেন মুফতি তাকি উসমানি। তিনি পাকিস্তান শরিয়া বোর্ডের সাবেক বিচারপতি।
প্রবন্ধের আকারে নয়, বক্ষমান বইয়ের লেখাগুলো অবধারিত হয়েছে কথিকার আদলে। অবতারণা হয়েছে কিছু শ্রেণীবিশেষদের কথা। যারা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সুদমুক্ত মনে করেন। এর প্রতিবাদে বইটিতে ফুটে উঠেছে সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থার পক্ষ-বিপক্ষের যুক্তিনির্ভর পর্যালোচনা। নানা সময়ে উত্থাপিত প্রশ্নের পরিকীর্ণ জবাব থেকে গাঁথা হয়েছে গ্রন্থটির মলাট। সুদবিহীন ব্যাংকিংয়ের পর্যালোচনায় সূচিবদ্ধ হয়েছে বাদায়েউস সানায়ে, ইমদাদুল ফাতওয়া, জাদিদ ফিকহে মাবাহিস, ইদারাতুল কুরাআন, দুররে মুখতার, ফাতাওয়ায়ে কাজি খান, জামিউল ফুসুলাইন, তাবয়িনুল হাকায়েক, রদ্দুল মুহতার, ফাতওয়ায়ে শামি, আল মাবসুত লিস সারাখসি, নশরুল ওরফ, আহসানুল ফাতওয়া, শরহুল আশবাহ ওয়ান নাজায়েজ, আত তাকরির ওয়াত তাহরির, প্রাগুক্তসহ বাইয়িনাতের মতো কালজয়ী কয়েকটি গ্রন্থের তথ্যসূত্র। যা বইটিকে গ্রহণযোগ্যতার উচ্চ আসনে পৌঁছে দিয়েছে।
অনুবাদে বইয়ের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেটে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে প্রয়োজন মাফিক। তবে অনুবাদের ক্ষেত্রে আরবি শব্দের প্রবণতা দৃশ্যমান। বইটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা মুসা বিন ইজহার। বশির মেসবাহর করা প্রচ্ছদ আবৃত বইটি সেসব পাঠকের জন্য অতীব জরুরি যারা এক লহমায় জেনে নিতে চান সুদবিহীন ব্যাংকিংয়ের শরয়ি বিধিবিধান।
- নাম : সুদবিহীন ব্যাংকিং
- লেখক: শাইখুল ইসলাম জাস্টিস আল্লামা তাকী উসমানী
- প্রকাশনী: : মাকতাবাতুল ইসলাম
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 327
- ভাষা : bangla
- প্রথম প্রকাশ: 2012
লগ ইন করুন ও রিভিউ যুক্ত করুন