​​চলছিল মন দেওয়া-নেওয়া। কিন্তু এদের সম্পর্কে বাঁধ সাধলো অন্য এক ষড়যন্ত্রী আর রক্তচোষা মহাজনের কাছে দেওয়া ওয়াদা। উপায়ন্তর না দেখে সুরাইয়া ফিরে আসে নিজ বাড়িতে। মহাজন কর্নেল তার ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিতে আসে। কর্নেল মহাজনের সঙ্গে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে হার্টে এটাকে এ জগতের সফর শেষ করে পরপারে পাড়ি জমান। কাজের মহিলা গুলমচন যে কি না সেই ছোট থেকে সুরাইয়াকে কোলেপিঠে করে মানুষে করেছে। তাকে নিয়ে ভোররাতে মহাজনের কাছ থেকে পাড়ি জমায় অজানা পথে। সুরাইয়া এখন কোথায় যাবে? মনসুরের বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর এ পথ মরে গেলেও সে মাড়াতে পারবে না। তাহলে সে এখন কোথায় যাবে? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে সে গুলমচনকে নিয়ে ট্রেনে ওঠে। হঠাৎ ট্রেন এ্যাকসিডেন্ট হয় গুলমচন তৎক্ষনাত মারা যায়। হাসপাতালের বেডে অনেকদিন থাকার পর সুরাইয়া ভাবে এখন সে কোথায় যাবে। এমনি সামাজিক দ্বন্ধ-সংঘাতে আকীর্ণ হয়ে এগিয়ে চলেছে উপন্যাসের পরবর্তী কাহিনী পড়তে হলে আপনাকে কর্নেল নন্দীনীর গভীর থেকে আরো গভীরে যেতে হবে।

• নাম : কর্নেল নন্দীনী
• লেখক: ফাতিমা মবিন
• অনুবাদক: আমিন আশরাফ
• প্রকাশনী: : রাহনুমা প্রকাশনী
• ভাষা : bangla
• প্রথম প্রকাশ: 2012