Islim O Adhunik Rashtycinta (ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা)

ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা

৳230.00
৳184.00
20 % ছাড়
বর্তমানে মুসলিম জাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। রাষ্ট্র ও সামাজিক জীবনের সাথে ইসলামের আদর্শকে গ্রহণ না করার মানসিকতা এর অন্যতম কারণ। অনেকে মনে করেন, রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি শুধু সামাজিক জীবনের সাথে আর ইসলাম হলো ধর্মীয় জীবনের সাথে। ধর্মের অনুশীলন ব্যক্তিজীবনের জন্য, ঘরের জীবনের জন্য। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মকে টেনে আনা ঠিক নয়। তাহলে কি সমাজ ব্যক্তি ছাড়া? রাষ্ট্র কি ব্যক্তি ছাড়া?  ব্যক্তিজীবন যেমন হবে সমাজজীবন তেমন হবে, সমাজজীবন যেমন হবে ব্যক্তিজীবন তেমন হবে, এটাই বাস্তবতা। ইসলামের আদর্শ কেবল ব্যক্তিজীবনের জন্য নয়। ব্যক্তিজীবনে মানুষ যে চরিত্রের হয় সমাজও সে চরিত্রে গড়ে ওঠে। যে সমাজের অধিকাংশ অধার্মিক হয় সে সমাজটাও অধার্মিক সমাজে পরিণত হয়ে যায়। ব্যক্তিরা পৌত্তলিক হলে সমাজও পৌত্তলিক সমাজ হিসেবে পরিচিত হবে। ব্যক্তি নিয়েই তো সমাজ, আলাদা তো কিছু নয়। ব্যক্তিজীবন এক ধরনের হবে আর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন হবে অন্য ধরনের–এটি মারাত্মক ভুল ধারণা। এসব বিষয়ের ওপর সর্বস্তরের মুসলমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও মুক্তির উপায় খুঁজে বের করার মানসে ‘ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা’ রচিত– এমনটিই বলেছেন খোদ লেখক। বইটির ভূমিকা থেকে আরো জানা গেল, বইটির মূলত লেখকের প্রবন্ধ সংকলন। প্রবন্ধগুলো অনেক সময়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা–বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইনকিলাব, আলোকিত বাংলাদেশ, আমাদের সময়, যুগান্তর, নয়াদিগন্ত, মাসিক আলজামিয়া, মহিলাকণ্ঠসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ পেয়েছে। আমি মনে করি, যে কোনো জাতির উন্নতি এবং অবনতি নির্ভর করে সে জাতির শিক্ষা সংস্কৃতির ওপর। আর শিক্ষা সংস্কৃতির সংরক্ষণ-সম্প্রসারণের সর্বাধিক গুরুদায়িত্ব আরোপিত হয় সে জাতির জ্ঞানী-গুণী ও বুদ্ধিজীবীদের ওপর। একারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওলামা সম্প্রদায়কে সর্বাধিক দায়িত্বশীল ও শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করেছেন। এই ওলামারাই যুগে যুগে তাদের জ্ঞানের বাতিঘর দিয়ে নির্মল আলোকিত করছে সমাজ, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।  বইটি হাতে নিয়ে বেশ ভালোই মনে হলো। প্রথম পৃষ্ঠার সূচিপত্র দেখে মন আশ্বস্ত হলেও পরের পৃষ্ঠার সূচিগুলো দেখে মনে হয়েছে, লেখকের বোধয় তার বিষয়বস্তু থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। কারণ, প্রথম প্রবন্ধটি শুরু হয়েছে– জিহাদ বনাম সন্ত্রাস ও তার একটি সরল মূল্যায়ন নিয়ে। লেখকের সরল মূল্যায়ন বেশ যথোচিত হওয়ার পাশাপাশি জিহাদকে যারা সন্ত্রাস বলে চালিয়ে দিতে চায়, তাদের মুখে জোরেশোরেই চপেটাঘাত করেছে। এরপরের আলোচনাটি ছিল, কওমি ছাত্র-শিক্ষকের মূল্যায়ন কেমন হওয়া উচিত এবং তাদের জ্ঞানের বিস্তৃতি কী পরিমাণ সয়লাব হচ্ছে দিন দিন, এর একটি রূপরেখা টানতে সক্ষম হয়েছে খুব ভালো করেই। এরপরের প্রবন্ধটিতে জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু যে প্রবন্ধটিতে সবচেয়ে বেশি মন কেড়েছে, সেটির নামেই বইটির নামকরণ করা হয়েছে। ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ।  গ্রন্থটির নাম শুনেই কেমন একটা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বুঝে এলেও এতে লেখক রাজনীতিকে দরদিভাষায় সমালোচনা করেছেন। ‘৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমার যত কথা’ প্রবন্ধে লেখক তার দূরদর্শী রাজনীতিক চিন্তা বিকাশের পথকে অবরুদ্ধ রাখতে পারেনি বলে আমার মনে হয়েছে। এরপরে ‘সংবিধানে ইসলাম কেন উপেক্ষিত’ এবং ‘গরিষ্ঠহারে ইসলামই হবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম’ প্রবন্ধে সংবিধান বনাম কোরআন নিয়েও ভারসাম্যতামূলক আলোচনা করেছেন। এমনকি জেনারেল শিক্ষার পাঠ্যতালিকা নিয়ে লেখকের ‘শিক্ষামন্ত্রাণলয়ের প্রতি খোলা’ চিঠিটিও মনে ধরার মতো। এ কয়েকটি প্রবন্ধ আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বইয়ের নামের প্রতি বিচার করে প্রবন্ধগুলোর মলাটবদ্ধ প্রয়াস এককথায় দারুণ। কিন্তু এরপরের প্রবন্ধগুলো আমার কাছে বইটির বিষয়সংশ্লিষ্ট মনে হয়নি। কারণ, পরের প্রবন্ধগুলো অগোছালোভাবে দিগ্বিদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইসলামের অনেক চিন্তাসমৃদ্ধ বিষয়ের অবতারণা বলা যায়। অনেক পাঠক সেটাকে ‘আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা’ বলতে নারাজ হবে হয়ত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে লেখক বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের মানুষ যে চিন্তায় লালিত-পালিত হবে, মূলত সেটাই রাষ্ট্রচিন্তা। তাই মসজিদে গিয়ে আমাদের কী করণীয়– সেটাও একপ্রকার রাষ্ট্রচিন্তারই অন্তর্ভুক্ত। এ কথাতেই বিষয়টি অতি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বইটির ফ্লাপ পড়ে জানতে পারলাম, লেখকের পৈতৃকনিবাস ময়মনসিংহের চরখরিচা এলাকায়। তিনি একাধারে হাফেজে কুরআন, পাকিস্তান সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বোর্ডের আলেম, মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, আদীব ও ক্বারী। বর্তমানে তিনি সারাবিশ্বের শীর্ষ ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ইসলাহে উম্মতের অন্যতম রাহবার, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ির মুহতামিম এবং গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব। তার দীনের বিভিন্ন অঙ্গনে দীর্ঘ দিনের সাধনা অবদান ও ভূমিকার জন্য দেশবাসীর নিকট বরেণ্য ও সমাদৃত। বিশেষ করে ধর্মীয় অঙ্গনের নানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় পর্যায়ের ওলামা-মাশায়েখ ও বুযুর্গানে দীনের নিকট তিনি বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। নতুন প্রজন্মের ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও তলাবাদের মাঝে তিনি সর্বজনমান্য ও প্রিয় ব্যক্তিত্বরূপে বিশেষভাবে বরিত। ‘মুহিউসসুন্নাহ’ উপাধি তাদের ভালোবাসার বিনম্র বহিঃপ্রকাশ। হারদুয়ীর হযরতের আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি ও দূরদর্শিতার ফলে তিন আজ সমকালের নন্দিত পুরোধা। মজলিসে দাওয়াতুল হকের বাংলাদেশের আমীর। আহলে হক ওলামা হযরতের বৃহত্তর দীনি ঐক্যের প্রতীক। মূলধারার আলেম সমাজ যে চিন্তা ও কর্মসাধনার অভিন্ন উত্তরাধিকার সে হক ও হক্কানিয়তে সমন্বিত অগ্রযাত্রার তিনি উদার ও সর্বজনগ্রাহ্য অগ্রপথিক। বাংলাদেশের বাইরেও বিভিন্ন দীনি অঙ্গনে তার প্রতি আকর্ষণ ও প্রশংসনীয় অবস্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশ্চাত্যে প্রভাব ও পরিচিত ছাড়াও উপমহাদেশের দেশগুলোতে দাওয়াতুল হকের সিলসিলায় তিনি বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন। আরববিশ্বের বিজ্ঞ সমাজও তার ইলম, দাওয়াত ও ইসলাহি কার্যক্রমের প্রতি দিন দিন ঝুকছে। বাংলাদেশে গণমুখী দীনি দাওয়াতের বহুবিধ কর্মতৎপরতার পাশাপাশি তার সুন্নতি অনুশীলন, দরস-তাদরিস ও গবেষণাসমৃদ্ধ বই-পুস্তক আমরা অর্ধশতকাল ধরে পেয়ে আসছি। মসজিদ-মাদরাসা, ওয়াজ-মাহফিলে বা দেশ-বিদেশের সফরে তার জ্ঞানগর্ভ ও আধ্যাত্ম মর্মপূর্ণ বয়ান সমাজকে করছে নির্মল আলোকিত।

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন