

নিফাক থেকে বাঁচুন
আবু হুরাইরা রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! আমার ইচ্ছা হয়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দিই, অতঃপর সালাত কায়েমের আদেশ দিই, অতঃপর সালাতের আযান দেয়া হোক, অতঃপর এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামত করার নির্দেশ দিই। অতঃপর আমি লোকদের নিকট যাই এবং তাদের (যারা জামাআতে শামিল হয়নি) ঘর জ্বালিয়ে দিই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! যদি তাদের কেউ জানত যে, একটি গোশতহীন মোটা হাড় বা ছাগলের ভালো দুটি পা পাবে, তাহলে অবশ্যই সে ‘ঈশা’র নামাজের জামাআতেও হাযির হতো।’ - সহীহ বুখারী ৬৪৪ .
হাদীসে স্পষ্ট বলে দেয়া হলো যে, ঈশার জামাআতে হাজির হওয়ার বিনিময়ে গোশতহীন মোটা হাড় বা ছাগলের ভালো দুটি পা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মুনাফিক ছুটে এসে ঈশার জামাআতে হাজির হতো। আর জান্নাত তো “আসমান-জমিন বিস্তৃত”। বরং এর চেয়েও বহুগুণ বড়। অথচ মুনাফিকের কাছে জান্নাত এক টুকরো গোশতের মূল্যও রাখে না! . আমাদের বর্তমান অবস্থাই চিন্তা করুন! ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আশেপাশে গেলে দেখা যায় ঈশার জামাআতে দু-তিন কাতারের বেশি লোক হয় না। অথচ নামাজের পর খানাপিনার আয়োজন বা ত্রাণ ইত্যাদির ঘোষণা দিলে অবস্থা কী দাঁড়ায়? এত লোকসমাগম হয় যে, মসজিদে জায়গা দেয়াই মুশকিল হয়ে যায়। . উত্তমরূপে নামাজ আদায় নিফাকমুক্ত ঈমানের পরিচয় : মুমিন ব্যক্তি পূর্ণ মনোযোগ, ইখলাস ও জামাআতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নামাজ আদায় করে। নামাজ আদায়ে সে প্রশান্তি অনুভব করে। আর মুনাফিকের অবস্থা সম্পূর্ণ বিপরীত। নামাজ নিয়ে মুনাফিকের নানা টালবাহানা রয়েছে।
- নাম : নিফাক থেকে বাঁচুন
- লেখক: ড. ইয়াদ কুনাইবী
- অনুবাদক: মাওলানা আহমাদ ইউসুফ শরীফ
- প্রকাশনী: : শব্দতরু
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 256
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2019