রাত্রি নামে অমাবস্যা
মুক্তিযুদ্ধের গল্পে প্রসঙ্গতই ইতিহাসের সত্য গল্প এসেছে।এখানে মূল চরিত্র "রাত্রি" কাল্পনিক।
কিন্তু তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া সেসময়ের বিভীষিকা ধাপে ধাপে এসেছে।
কাল্পনিক চরিত্রে কঠিন বাস্তবতাগুলো সূচিত হয়েছে।
"রাশেদ" তেমনি আরও একটি চরিত্র এবং কেন্দ্রিয় চরিত্র। যেখানে একজন অন্তস্বত্ত্বা নারী "রাত্রি "বহুদিন ধরে, তাঁর স্বামীর নিঁখোজ হওয়া, বিষয়টি ;তাকে অপরিসীম দূর্ভাবনায় রেখেছে।এমন পরিস্থিতিতে রাশেদের যে খবর সে পাচ্ছিলো,তা ছিল রীতিমতো পীড়াদায়ক।এমন কী তার সত্যতাও অবগত হতে পারছিল না রাত্রি।
স্বামীর সংসার সামলিয়ে নিভৃতে একাই কষ্টগুলো বয়ে বেড়াচ্ছিলো।
পলাশ মিত্র নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র, তার রাত্রি বৌঠানকে রাশেদের চিঠি দিতে গিয়ে ধরা পরে পাঞ্জাবিদের হাতে।
গঁফুর নামে গ্রামের দুষ্কৃতিকারী পাকিস্তানী মেজরকে নিয়ে অন্ধকারে আকস্মিক এসে উপস্থিত হয় রাত্রির শশুরবাড়িতে।
কনক নামে বিধর্মী গান বাদকের প্রেমে পরে জয়নাব।
রাত্রির কাছে স্বামীর চিঠি পৌঁছায়।তবে পুরোটা নয়।
অর্ধেকের যেটুকুতে স্বামীর আকুলতা তাকে দেখার সাধ, রাত্রির দু’চোখে স্বপ্নকে আবার জাগিয়ে তোলে।
পরিস্থিতির চরম দূর্বিসহ ও ভয়াবহতার পরও রাত্রি সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকায় সে যাবে প্রয়োজনে একাই।
শেষতক,স্বামী রাশেদের সাথে দেখা হয়েছিল কিনা,জয়নাবের থেকে দুষ্কৃতিকারীদের কুনজর সরে ছিল কি না কিংবা পলাশ,কনকের কী পরিণতি হয়েছিল সেটি এ গল্পে ধারাবাহিক ভাবে এসেছে।
এছাড়াও রাশেদের বন্ধুরা, রাশেদের আদরের ছাত্র সীমান্ত যাকে সে পড়াতে যেত ;যে মাধ্যমে রাত্রির সাথে পরিচয় হলো তার কী ঘটে সেটিও একটি বড় কৌতুহলের বিষয় এ গল্পে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ১৯৭১ এ রেসকোর্সে আন্দোলনের ডাক।৩ মার্চ ১৯৭১ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ইশতেহার পাঠ প্রভৃতি বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত ভাবে পটভূমি গুলো সাজাতে চেষ্টা করেছি।
জানি না কতটুকু পেরেছি।
তবে পুরো গল্প লিখতে গিয়ে একেকটা কাল্পনিক চরিত্র মনের পর্দায় প্রভাব ফেলেছে।
সংগ্রামী ইতিহাসের সত্য গল্পে রোমহষর্ক বিবরণ একই সাথে আপ্লুত করেছে আবেগের সে কঠিন জায়গা গুলোয়।
এ প্রজন্মের লেখক হিসেবে কতটা সার্থক তা কেবল পাঠ প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।
- নাম : রাত্রি নামে অমাবস্যা
- লেখক: হাসিনা সাঈদ মুক্তা
- প্রকাশনী: : শিখা প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 144
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849334781
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2022