

কন্যার চোখে পুত্রের চোখে
একটি বৈঠকি আলোচনার শ্রুতিলেখ্য কন্যার চোখে পুত্রের চোখে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারি, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবর্ষে ‘ঐতিহ্য আয়োজিত এক সভায় শহিদ পিতাকে নিয়ে কথা বলেন কন্যা শারমিন আহমদ এবং পুত্র সোহেল তাজ। সন্তানের নিকট বাবা যে কত বড় আর মহান তার প্রতিচ্ছায়া এখানে বিধৃত হয়েছে। কন্যা এবং পুত্র উভয়েই বাবার জীবনের বিচিত্র দিক তুলে ধরেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন পিতা তাজউদ্দীন আহমদের সাহসী ভূমিকার কথা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ গঠনে তার অনবদ্য অবদানের কথা। প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য এবং উন্মোচিত হয়েছে বিতর্কিত ও অমীমাংসিত সত্যের।ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের অন্যতম দুরভিসন্ধি ছিল ইতিহাসকে বিকৃতি করা এবং নিজেদের মতো ইতিহাসের বয়ান তৈরি করা।
তাদের বয়ানে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়ে ওঠে একক ব্যক্তির সাফল্য। অপরাপর ব্যক্তিকে ইচ্ছে করেই খাটো বা নাই করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ না বলে তারা একক দলের যুদ্ধ হিসেবে বয়ান চালু করে। হাসিনা সরকার তার সময়কালে সর্বত্র শেখ মুজিবের স্তুতিতে মুখর করে রেখেছিল। এতে করে শেখ মুজিবকে আসলে বড় করা হয়নি বরং তাকে খাটো করা হয়েছে; যার জাজ্বল্যমান প্রমাণ ২০২৪-এর ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে প্রকাশ পেয়েছে।স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মহান রাজনীতিবিদ তাজউদ্দীন আহমদের পূনর্মূল্যায়ন আজ সময়ের দাবি। বইটি নিঃসন্দেহে সেই দাবিরই একটি ফলক। রাষ্ট্রের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেন তাদের যদি ভুলে যাওয়া হয়, অবমূল্যায়ন করা হয় তাহলে রাষ্ট্রে নেমে আসে দুর্বিপাক; যা আমরা ইতিহাসে লক্ষ করেছি। তাইতো আমাদের উচিত ত্যাগীর ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করা।
- নাম : কন্যার চোখে পুত্রের চোখে
- লেখক: শারমিন আহমদ
- লেখক: সোহেল তাজ
- প্রকাশনী: : ঐতিহ্য
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025