
কৈবর্তকথা
"কৈবর্তকথা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর কথাঃ মাছ ও ভাত বাঙালির প্রধান খাদ্য। বাঙালির পুষ্টি যােগানের ক্ষেত্রে চাষি ও জেলের সমান কৃতিত্ব। এর পরও প্রশংসা পাওয়া তাে দূরের কথা, বরং মােক্ষম গালিটা তাদের জন্যে নির্ধারিত। 'হাইল্যার ছেলে, জাইল্যার পােয়া'—গালি হিসেবে সমাজের নানা স্তরে বহুলভাবে ব্যবহুত। জেলেসম্পদ্রায়ের আলােকিত অতীত ছিল। মহাভারত, গীতা ও নানা পুরাণে একথার উদাহরণ ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন যাগযজ্ঞে, রাজকীয় অনুষ্ঠানে সসম্মানে অংশগ্রহণ করার অধিকার ছিল জেলেদের। কিন্তু বিবর্তিত প্রথাগত সংস্কারের ফাঁসকলে পড়ে আজ তারা অবনমিত।
বর্তমান জেলেরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রিক বৈষম্যের শিকার। বর্ণগর্বিত সমাজে নিন্দিত সম্প্রদায়গুলাের অন্যতম হলাে জেলেসম্প্রদায়। নিন্দা-ঘৃণা-অবহেলার ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত জেলের কোনাে ফারাক নেই। শুধু জেলে পরিচয়ের কারণে ড. হরিশংকর জলদাস তিপ্পান্ন বছর বয়সেও সরকারের শিক্ষাবিভাগের উচ্চপদে চাকরি করা সত্ত্বেও তথাকথিত কুলীন মানুষদের দ্বারা ঘৃণিত ও দলিত হচ্ছেন। উন্নাসিক সমাজমানুষদের ঘৃণা-লাঞ্ছনা তার এবং তার পরিবারবর্গের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই ঘৃণা ও দলনের কারণ কী? জেলেরা কি আদৌ নিন্দাহ?
নিজের জীবনের পটভূমিতে এই প্রশ্নগুলাের উত্তর খুঁজেছেন লেখক হরিশংকর জলদাস। মূলত, কৈবর্তকথা’ রূপ-রস-গন্ধমাখা কৈবর্তজীবনের চালচিত্র। এই গ্রন্থ সমাজিতিহাসঅনুসন্ধানীদের তথ্য দেবে, কাহিনী-অনুরাগীদের দেবে আনন্দ।
- নাম : কৈবর্তকথা
- লেখক: হরিশংকর জলদাস
- প্রকাশনী: : মাওলা ব্রাদার্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 110
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9847015600785
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2009