
কপোট্রনিক সুখ দুঃখ
"কপোট্রনিক সুখ দুঃখ"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: কপােট্রনিক ভালবাসা, আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি রিসার্চ সেন্টারের করিডােরে আমাকে গুলি করেছিল। স্পষ্টতই সে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু যে কারণেই হােক আমি মরিনি এবং কে আমাকে গুলি করেছিল সেটা এখন পর্যন্ত বাইরের কেউই জানে না। আমার বাম ফুসফুসটা ফুটো হয়ে গিয়েছিল এবং এজন্যে আমাকে পুরাে তিন মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে।
এই সুদীর্ঘ তিন মাস আমি যেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছি, আমার গবেষণার সাথে তার কোনাে যােগাযােগ নেই। আমি মানুষের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, বেঁচে থাকার প্রেরণা, আনন্দ ও যন্ত্রণার যৌক্তিকতা নিয়ে ভেবেছি। হাসপাতালের নিঃসঙ্গ পরিবেশ বা আমার অসুস্থ অবস্থার জন্যই হােক, আমি পরিপূর্ণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করছিলাম। ঠিক এই সময়ে আমার সেই বন্ধুটি আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল।
সে ভীষণ শীর্ণ হয়ে পড়েছিল, তার চোখের কোণে কালি, মুখে অপরাধবােধের ছাপ। তুমি পুলিশকে আমার নাম বলতে পারতে—সে ঠিক এই কথাটি দিয়ে শুরু করেছিল— বলনি দেখে ধন্যবাদ। তবে তুমি যদি ভেবে থাক এটা তােমার মহত্ত্ব এবং এই মহত্ত্ব দিয়ে তুমি আমার উপর প্রভুত্ব করবে, তাহলে খুব ভুল করছ। আমি তার চোখের দিকে সােজাসুজি তাকিয়ে বললাম, তুমি কী জন্যে। আমাকে খুন করতে চেয়েছিলে সেটা না জানলে হয়তাে তােমাকে আমি ঘৃণা করতাম না।
কিন্তু এখন তােমাকে আমি ঘৃণা করি। সে আমার এই কথাটায় বিচলিত হয়ে পড়েছিল। আমার কাছ থেকে বিদায় নেবার পর আমি বুঝতে পেরেছিলাম, হয় সে, না হয় আমি বেঁচে
- নাম : কপোট্রনিক সুখ দুঃখ
- অনুবাদক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল
- প্রকাশনী: : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 86
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789848812594
- বান্ডিং : hard cover
- শেষ প্রকাশ : 2015