cia in iran (সিআইএ ইন ইরান)

সিআইএ ইন ইরান

৳350.00
৳298.00
15 % ছাড়

বই পরিচিতি
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইরান সরকারকে কেন উৎখাত করেছে সিআইএ? গত চার দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র কেন ইরানকে নিজেদের অন্যতম শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে আসছে? ট্রাম্প প্রশাসনের 'সর্বোচ্চ চাপ' কৌশল কি ফলপ্রসূ হয়েছে? নাকি খুব শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র?
'সিআইএ ইন ইরান'-এ সাবেক সিআইএ অফিসার জন সি. কিরিয়াকো ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যারেথ পোর্টার ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে আর কেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে; কিংবা 'ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান' প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪০ বছর ধরে এমন বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে! গ্রন্থকারদ্বয় গত ৪০ বছর ধরে চলমান মার্কিন-ইরান দ্বন্দ্বের অন্তরালের কাহিনি তুলে ধরেছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল মিথ্যাচারের যুক্তি খণ্ডানো যায়।
এই বইয়ে আছে- ইরান কীভাবে নিপীড়ক ব্রিটিশ ও রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদের মোকাবিলা করেছে, যাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল দেশটির সম্পদ। এছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার প্রাথমিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক। বইটিতে আরও পাবেন : ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পক্ষ নিয়ে ১৯৫৩ সালে মোসাদ্দেক সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ইরানি জনগণের আশা ও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়, যারা রাষ্ট্রীয় তেল সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল! এরপর ইরানের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হুসেইন সরকারের ভয়ংকর রাসায়নিক যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এই বইয়ে দেখা যাবে, বিগত তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ইরান-নীতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত মিথ্যাচারের শিকার হয়ে আসছে, যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ফলাফলস্বরূপ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনি জানবেন- ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি দেশটির তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প, যে-কারণে যুদ্ধের ঝুঁকি কতটা বেড়ে গেছে! সেই সঙ্গে উভয় দেশের জনগণের ওপর ভর করেছে অজানা উৎকণ্ঠা।
'সিআইএ ইন ইরান' বইটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের 'সর্বোচ্চ চাপ' কৌশলের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।
১ম ফ্ল্যাপ
ইরানে সিআইএ-র গোয়েন্দা তৎপরতা অনেক বছর ধরেই চলমান, যা সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে আগ্রহ ও আলোচনার মূল বিষয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবাদে ইরানের রয়েছে কৌশলগত সুবিধা, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ জটিল। সিআইএ-সহ বিশ্বের অনেক দেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির বিশেষ নজরে এসেছে ইরান।বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য মূলত ইরানে ইন্টেলিজেন্স অপারেশন পরিচালনা করে থাকে সিআইএ। যেমন দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন উপায়ে পরিচালিত হয় এসব অপারেশন। যেমন: HUMINT (Human Intelligence), SIGINT (Signals Intelligence) ও সাইবার অভিযান। ইরানের
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের মূল্যবান ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের জন্য সিআইএ নিজেদের এজেন্ট, ইনফর্মার ও নজরদারি সক্ষমতার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল।
যাহোক, ইরানে সিআইএ-র ভূমিকা সবসময়ই বিতর্কিত। ইতোমধ্যে মার্কিন-ইরান সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বিরাজমান। ইরানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানের পাশাপাশি দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর সিআইএ আঘাত হানে বলে ইরানি জনগণের অভিযোগ রয়েছে। সিআইএ-র অত্যধিক বাড়াবাড়ির দরুণ উভয় দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এবং বৈরিতা বেড়েছে।
এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, ইরানে সিআইএ-র অভিযানের অনেকাংশই থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। আর তাই সংবাদপত্র বা বইয়ে যা জানা যায়, তা খুবই সামান্য। তবে সারা বিশ্ব জানে, ইরান থেকে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের পর সিআইএ তা মার্কিন নীতিপ্রণেতাদের কাছে পাঠায়, যাতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায় মধ্যপ্রাচ্যে। মূলত এই এলাকায় ইরানের আধিপত্য রুখে দিতেই সিআইএ-র এত আয়োজন।
গ্রন্থকারদ্বয়ের পরিচিতি
শালিখ লোটার হলেন অনুসন্ধানী ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে অগাধ জ্ঞান রাখেন। ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় যুদ্ধ ও সামরিক অভিযান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরান-নীতি নিয়ে তিনি বেশকিছু বিশেষ অনুসন্ধানী স্টোরি কভার করেছেন। Perils of Dominance : Imbalance of Power and the Road to War in Vietnam এবং Mamfactured Crisis : the Untold Story of the Iran Nuclear Scare-সহ তিনি মোট চারটি গ্রন্থের রচয়িতা।
জন সি. কিরিয়াকো হলেন সিআইএ-র সাবেক কাউন্টার টেরোরিজম অফিসার, 'সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটি'-র সাবেক গবেষক ও ABC News-এর সাবেক কাউন্টার টেরোরিজম উপদেষ্টা। ২০০২ সালে পাকিস্তানে আল-কায়েদার তৎকালীন তৃতীয় শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি আৰু জুবাইদাহন গ্রেফতারে ভূমিকা রাখেন তিনি। ২০০৭ সালে কিরিয়াকো সিআইএ-র 'টর্চার প্রোগ্রাম'-র গোমর ফাঁস করেন। ABC News-কে জানান, মার্কিন সরকারের আদেশে সিআইএ নির্যাতন চালায় গ্রেফতারকৃতদের ওপর; আর নির্যাতন-নীতির অনুমোদন দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ইন্টেলিজেন্স ও সিআইএ নিয়ে তিনি বেশকিছু বই লিখেছেন।
অনুবাদক পরিচিতি
শিহাব শাহরিয়ার ২০১৩ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বেশকিছু দিন চাকরি করেছেন একটি ইংরেজি পত্রিকায়। স্কুল জীবন থেকেই তিনি মিলিটারি প্যারেডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেন; যুক্ত ছিলেন আদমজী স্কুলের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সাথেও। যেমন : কুইজ, স্পোর্টস, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। কৈশোর থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তুমুল আগ্রহ থাকার কারণে তিনি আদমজী স্কুল লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরনের মিলিটারি ম্যাগাজিন ও জার্নাল পড়ার অভ্যাস আয়ত্ত করেন। তারপরও সামরিক বাহিনীর প্রতি ভালোবাসার দরুণ তিনি সামরিক বাহিনী সম্পর্কিত বেশকিছু ইংরেজি বই বাংলায় অনুবাদ করেছেন। রাজনীতি ও সামরিক বিষয়াবলি যেন তার কাছে নেশার মতো। তিনি জনবিখ্যাত কিছু ইংরেজি মিলিটারি বই বাংলায় অনুবাদের ইচ্ছাপোষণ করেন।

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন