
বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস
‘বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ মহাবিশ্বের বিলিওন বিলিওন গ্যালাক্সির সাধারণ একটা গ্যালাক্সির। ' নাম ছায়াপথ, সেই গ্যালাক্সির সাদামাটা একটা নক্ষত্রের নাম সূর্য, সেই সূর্যের ছোট একটি নীল গ্রহের নাম পৃথিবী। সেই পৃথিবীর বাসিন্দার নাম মানুষ, তাদের মাথার দেড় কেজি ওজনের মস্তিষ্কটি ব্যবহার করে তারা বের করে ফেলেছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেমন করে সৃষ্টি হয়েছে! বইটির সারংশঃ এই বইটি লেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
তিনি একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড গড়ে তোলার পিছনে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। এই বইটিতে সম্পুর্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে আজকের মানুষ পর্যন্ত বিবর্তনের বিষয় গুলো তুলে ধরা হয়েছে, যেহেতু এই বইটি মাত্র ৫৬ পৃষ্ঠার এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে আজকের মানুষ এইটি প্রায় ১৩.৮ বিলিওন বছরের বেশি সময় যা এই বইটিতে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
সেটি বলা যেতে পারে কিন্তু অনেক বিষয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পকে জানার প্রাথমিক ধারণা দিতে পারবে। এছাড়াও এই থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট তথ্য যেমন ইনফ্ল্যাশান-এ ১০টু দি পাওয়ার -৪১ সেকেন্ড পার হওয়ার আগে ব্যবহার করার মত বিজ্ঞান এখনো বের হয়নি, ৫ বিলিওন বছর আগে মিল্কিওয়ে (ছায়াপথ) গ্যালাক্সিতে মহাজাগতিক ধুলাবালি আর গ্যাস থেকে নন্ম নিল একটি নেবুলা। এই নেবুলার ভরের শতকরা ৯৯.৯ ভাগ কেন্দ্রে জমা হলো। মহাকর্ষের আকর্ষণে প্রচণ্ড চাপে বেড়ে শুরু হলো নিউক্লিয়ার ফিউসান এবং জ্বলে উঠল সূর্য!, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মোট ভরের শতকরা ৬৩ ভাগ ছিল ডার্ক ম্যাটার!, সৌর জগতের ৩য় এই নীলাভ গ্রহটি অন্য সব গ্রহ থেকে আলাদা, সব থেকে রহস্যময়, সব থেকে বৈচিত্র্যময়।
তার কারণ শুধু এই গুহটিতে চার বিলিওন বছর আগে প্রাণের বিকাশ হয়েছিল, মানুষ কখনো বানর হতে বিবর্তিত হয়ে হয়নি, মানুষের অনেকগুলো প্রজাতি জন্ম হয়েছিল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এই বই থেকে জানা যাবে, যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পকে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করবে হবে আমার মনে হয়।
- নাম : বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস
- লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল
- প্রকাশনী: : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849352693
- প্রথম প্রকাশ: 2018