অতঃপর
খোদা তা'য়ালা কিছু মানুষকে ফুলশয্যার জীবন দেন। যারা পাঁপড়ির কোমলতা অনুভব করে, কিন্তু তীক্ষ্ণ কন্টক সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখেনা। তানিয়াও ছিলো তাদেরই একজন। বাবা-মায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ছিমছাম একটা পরিবারে তাদের মধ্যমনি হয়ে থাকাটা কম শান্তির নয়। কিন্তু হঠাৎই তার শখ হলো, আব্দুল্লাহর হাত থেকে একটা গোলাপ পাওয়ার। সেখানেই শুরু......
পৃথিবীর রুক্ষ চেহারা দেখার জন্যও কিছু মানুষের জন্ম হয়। যাদের কেউ কেউ খুব সহজেই হার মেনে নিয়ে সঁপে দেয় নিজেকে। ডুবতে শুরু করে তিমির সমুদ্রে। আর কেউ কেউ সে রুক্ষতাকে গরম চোখ দেখিয়ে নিজের চলার পথ সাজিয়ে নেয়। নিজ শক্তিতে জেগে ওঠে ফিনিক্সের মতো। দিব্য কোন দলের? সে তো ভালোবাসতো কলেজ মাঠের সোনালু গাছটাকে। তারপর একদিন তার দৃষ্টি আটকে গেলো দোতলার ক্লাসরুমের জানালায়.
কিয়ামাহ যত নিকটবর্তী হতে থাকে, মানুষের সামনে নব্য ফিতনার দ্বার তত বেশি উন্মোচিত হতে থাকে। দ্বীনের ক্ষেত্রে একটু একটু করে ছাড় দিতে থাকা মুসলিমেরা সেসব প্রলোভনের স্বল্প আঘাতেই ঘায়েল হয়ে যায় খুব দ্রুত। এমনকি তখন সেগুলোকে আর ফিতনা নয়, মনে হতে থাকে নিয়ামাতের একাংশ বলে। নাওয়াসের মতো গুটিকয়েক মানুষ আছে, যারা সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি মেলে রাখে। যাদের কাছে নিজের জীবনের চাইতে জীবনে জড়িয়ে থাকা নারীদের সম্মানের মূল্য বেশি। শিকড় গেড়ে বাড়তে থাকা লুকানোর চেষ্টায় রত প্রকাশ্য ফিতনাগুলো থেকে মুসলিম উম্মাহকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে দিতে রাজী হয়ে যায়, নাওয়াস তাদেরই একজন। একদিন তার খুব কাছ থেকে সে ঝড় ঝাপটা দিয়ে যায়.
- নাম : অতঃপর
- লেখক: নাবিলা শিফা
- প্রকাশনী: : দাঁড়িকমা প্রকাশনী
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025





