তারবিয়াতুল আওলাদ (সন্তান প্রতিপালনে নববি আদর্শ) হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের দান করুন নয়নপ্রীতিকর স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি। আর আমাদের বানান মুত্তাকিদের জন্যে অনুসরণযোগ্য। -সুরা ফুরকান : ৭৪
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্তানের সাত বছর বয়স থেকে পিতা-মাতাকে তার নামাজ শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হতে বলেছেন। পিতা-মাতা আদর-সোহাগ, উৎসাহ-উপদেশ দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সাত বছর থেকে নামাজি করে তুলতে। প্রয়োজনে উপহার দিবে। পুরস্কৃত করবে। দশ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত তার হাতে সময় হলো চার বছর। মাস হিসাবে আট চল্লিশ মাস। দিন হিসাবে প্রায় ১৪০০ দিন।
দীর্ঘ চার বছর ক্রমাগত উপদেশ, উৎসাহ, ভালোবাসা দিয়েও যদি সন্তান নামাজের প্রতি সাড়া না দেয়, তা হলে দশ বছর পূর্ণ হওয়ার পর এবার পিতা-মাতা আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করবে। সেটা হলো শাসনের পদ্ধতি। এবার তাকে ভয় দেখাবে জাহান্নামের, শাসনের। ভয় না পেলে এবং নামাজ না পড়লে এবার মারার সুযোগ আছে। যাতে চিরস্থায়ী জাহান্নামের আজাব থেকে সন্তান বেঁচে যেতে পারে। তবে এ মারাটা শাস্তি দানের জন্য হবে না। শাস্তির জন্য মারা হারাম। এতে মানুষের মানহানী করা হয়। (তবে হক নষ্টের অপরাধে কাজির শাস্তি এখানে ধর্তব্য না)।
সংশোধনের জন্য, শিক্ষার জন্য মারবে। প্রহার অবশ্যই মৃদু হতে হবে। শরীরে দাগ হয় এভাবে মারবে না। আব্বাস রা. বলেন, মিসওয়াক বা এজাতীয় জিনিস দিয়ে মারবে। প্রহার প্রসঙ্গ তখনই আসবে যখন কারো ক্রমাগত উপদেশ ও ভালোবাসায় কাজ হয় না। কারো যদি এতেই কাজ হয়ে যায়, তা হলে মারার কোনো প্রশ্নই আসে না। মারটা হলো রোগীর অষুধের মতো। যেহেতু সকলের মানসিকতা এক নয়। কাউকে সহজ করে বললেই মেনে নেয়। আবার কাউকে সহজ করে বললেও কাজে দেয় না। তখন তাকে শাসন করতে হয়।
- নাম : তারবিয়াতুল আওলাদ (সন্তান প্রতিপালনে নববি আদর্শ)
- লেখক: সাঈদ ইবনে আলী আল কাহতানী
- অনুবাদক: মুফতি শরিফুল ইসলাম নাঈম
- প্রকাশনী: : কাতেবিন প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 272
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2023