ঢাকা টু কাশ্মীর
স্বগের শুরুটা কখন হয়েছিল জানিনা তবে যখন থেকে দেশ দেখার নেশায় পেয়েছিল তখন থেকেই কাশ্মীরকে দেখার অদম্য ইচ্ছা জেগে উঠেছে বার বার। হাল ছাড়িনি, ইন্ডিয়া যাবার সুযােগ এলেই কাশ্মীর যাবার বায়না দিয়ে রেখেছি আগে থেকেই। অবশেষে সুযােগ এল। বেড়ানাের জন্য উত্তম একটা সুযােগ। এপ্রিল থেকে জুলাই। বােধ হয় এই রকম একটা স্বপ্ন আমার মত আমার বড় ছেলে সানি এবং তার বাবার মনেও ছিল। মাস খানেক যাবৎ চলছে বাপ বেটার পরিকল্পনা।
পরিকল্পনায় আমি আর যােগ দেই না। অন্তত কোন কারণে যদি যাবার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয় তবে কষ্টের পরিমাণ যেন কিছুটা লাঘব হয়। দেখছি পরিকল্পনা মতােই এগুচ্ছে সবকিছু। শীতের কাপড় কেনা, ক্যামেরা রেডি করা, ইউটিউব দেখে রেস্টুরেন্ট ঠিক করা, ট্রেনের টিকিট বুকিং দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এত দূরের জার্নিতে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি ট্রেন জার্নিকে। এর পেছনে অনেকগুলাে যুক্তি দাড় করিয়েছি।
এক নাম্বার প্লেনে যাবার খরচ আর ট্রেনের ফাস্টক্লাসে রিজারভেশন করে যাবার মাঝে অর্থনৈতিক য খুব বেশি তা নয়। অনেক আগে কলকাতা থেকে দিল্লী যাবার সময় ট্রেনে চড়ার একটি মধুর অভিজ্ঞতা আছে। সেই মােহটাও ভীষণ ভাবে কাজ করছে, দেখতে দেখতে যাবার ইচ্ছা। তাছাড়া প্লেনে যাবার প্রচন্ড অনীহার আরও একটি বড় কারণ হলাে মাত্র কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া নেপালের প্লেন দুর্ঘটনা। সবকিছু বিবেচনা করে ট্রেন জার্নিটাকেই মনে হচ্ছে সব চেয়ে আনন্দদায়ক হবে। অবশেষে সেই আনন্দের মূহুর্তটা এল। ৩১ শে মার্চ। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল আটটা দশ মিনিটে ছেড়ে যাবে ট্রেন।
রিপাের্টিং টাইম আরাে ১ ঘন্টা আগে। কেবিন ভাড়া ১১,৮০০/- টাকা। বেশ সস্তাই মনে হচ্ছে। শুয়ে বসে ঘুমিয়ে আরাম করে ৯ ঘন্টা পাড়ি দেওয়া। কোন ব্যপার নয়। এখানে একটি কথা না বললেই নয়।
- নাম : ঢাকা টু কাশ্মীর
- লেখক: শিরিন আনওয়ার
- প্রকাশনী: : রিদম প্রকাশনা সংস্থা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 79
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789845200547
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2020