ফাতাওয়া ও মাসাইল ১-৪ খণ্ড
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মুফতিয়ে আযম আবদুস সালাম চাটগামী রহিমাহুল্লাহ সেই মহামনীষীদের একজন ছিলেন, যারা নিজ দেশকে ছাপিয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে রাজত্ব করেছেন বিশ্বের আনাচকানাচে। করাচির বানুরিটাউনে গিয়েছিলেন হাদিস অধ্যায়নের তেষ্টা নিয়ে। এরপর আর ফেরা হয়নি দেশে। ততদিনে পাকিস্তান খুঁজে পেয়েছে একজন দক্ষ ফকিহকে। বানুরিটাউনের গ্র্যান্ড মুফতির আসনটি বোধহয় অপেক্ষা করছিলো তাঁরই জন্য, তিনি তাতে আসীন হলেন। ত্রিশটি বসন্ত কেটে গেলো। আস্থার পাত্র হয়ে উঠলেন তিনি; ছাত্র, শিক্ষক, সহকর্মী থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণের। শুধু পাকিস্তান নয়, গোটা বিশ্ব থেকে তাঁর কাছে আসতে থাকে জীবনঘনিষ্ঠ জিজ্ঞাসা, তিনি নির্লিপ্তকণ্ঠে বোধগম্য ভাষায় দিয়ে যান সমাধান।
.
এই সমাধানগুলো মানুষ চোখবুঁজে গ্রহণ করে নিতো, স্থিরতা পেতো হাজার হাজার জিজ্ঞাসু মন। বানুরিটাউনের প্রধান মুফতি তিনি। দারুল ইফতায় দৈনিক বিশ ত্রিশটা ফাতাওয়া আসে, মাসে প্রায় সাড়ে সাতশো, বছরে প্রায় নয় হাজার! এসব জিজ্ঞাসার জবাব কিছুটা তিনি লিখেন, বাকিগুলো সত্যায়িত হয় তাঁর হাতে। এভাবেই জমা হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ জীবনঘনিষ্ঠ জিজ্ঞাসার সরল সহজ সমাধান। এই ফাতাওয়াগুলো হয়ে উঠে অমূল্য রত্ন। তাঁর নিজহাতে লেখা অমূল্য সে রত্নগুলো সংকলন হয়ে প্রকাশিত হয় 'আপ কি সুয়ালাত আওর ইনকা হল' নামে। প্রকাশের পরপরই সাড়া ফেলে আহলে ইলম থেকে নিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মাঝে। বাংলা ভাষায় এর অনুবাদ করা ছিলো সময়ের দাবি, মানুষের চাহিদা। বহুল সমাদৃত প্রত্যাশিত সে বইয়ের অনূদিত গ্রন্থ হচ্ছে বক্ষ্যমাণ— ফাতাওয়া ও মাসাইল।
- নাম : ফাতাওয়া ও মাসাইল ১-৪ খণ্ড
- লেখক: মুফতি মুহাম্মাদ আবদুস সালাম চাটগামী রহ.
- অনুবাদক: মাওলানা শোয়াইব কাবিলপুরী
- সম্পাদনা: আবুল কাশেম আদিল
- প্রকাশনী: : ইত্তিহাদ পাবলিকেশন
- ভাষা : bangla & arabic
- বান্ডিং : boxed set
- প্রথম প্রকাশ: 2022